বুধবার সকালে মাঠে নামছে মেসির আর্জেন্টিনা

বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের ম্যাচে আবারো উত্তপ্ত হচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের ফুটবল লড়াই। এ অঞ্চলের দশ দলই মাঠে নামছে। আজ রাত তিনটা থেকে শুরু হবে এ লড়াই।

চিলি-ভেনেজুয়েলা মাঠে নামবে রাত তিনটায়। এরপর প্যারাগুয়ে-বলিভিয়া, ইকুয়েডর-কলাম্বিয়া। সবশেষে উরুগুয়ে-ব্রাজিল আর পেরু-আর্জেন্টিনা।

ব্রাজিল মাঠে নামবে ভোর ছয়টায়। আর আর্জেন্টিনার ম্যাচ শুরু সকাল আটটায়। ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা উভয়ে এবার অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলছে।

আর্জেন্টিনা ম্যাচ মানেই সবার আগে আলোচনায় দলটির অধিনায়ক লিওনেল মেসি। তিনি খেলবেন কি খেলবেন না সেটাই এখন আলোচনার বিষয়। ইনজুরির কারণে বেশ কিছুদিন লিওনেল মেসিকে ঘিরে এই আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ স্থান করে নিয়েছেন। তবে আশার কথা যে, মেসি এখন অনেকটা সুস্থ। যার প্রমাণ গত ম্যাচ। সে ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। তবে পুরো সময়ের জন্য নয়, বদলি খেলোয়াড় হিসেবে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেছিলেন। গোল করতে পারেননি, করাতেও পারেননি। তবে গোলবার যদি তার প্রতিপক্ষ না হতো তাহলে হয়তো একাধিক গোলের দেখা পেতেন। একাধিকবার তার শট পোস্টে লেগে ফেরে।

মেসি আগের ম্যাচে খেলেছেন বলে এ ম্যাচেও খেলবেন এমনটা ধারণা করার কোনো যুক্তি নেই। ইনজুরি তাকে এবং তার ভক্তদের এমন অনিশ্চয়তায় ঠেলে দিয়েছে। তবে খেলার জন্য প্রস্তুত তিনি। অনুশীলনও করেছেন। সকালের সেশনে ভালোভাবে অনুশীলন করলেও ডান পায়ে কিছুটা অস্বস্তি বোধ করেছেন। এই সমস্যাটাই তাকে একের পর এক ম্যাচে মাঠের বাইরে রাখছে। যদি পেরুর বিপক্ষে ম্যাচে মেসি শুরুর একাদশে থাকেন তাহলেও কোচ লিওনেল স্ক্যালোনিকে নতুন করে চিন্তাভাবনা করতে হবে। হুলিয়ান আলভারেজ বা লাউতারো মার্টিনেজের যে কোনো একজনকে মাঠের বাইরে রাখতে হবে।

শক্তির বিচারে পেরুর তুলনায় অনেকটা এগিয়ে আর্জেন্টিনা। র্যাংকিংয়ের বিষয় তো রয়েছেই, বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের ফলাফলও তাই বলছে। পেরু তিন ম্যাচের সর্বশেষ দুই ম্যাচেই হেরেছে, অন্যদিকে আর্জেন্টিনা টানা তিন ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলে নেতৃত্ব দিচ্ছে। পেরুর কোচ হুয়ান রেনেসো ভালো করেই জানেন, বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার বিপক্ষে লড়াই করাটা কঠিন চ্যালেঞ্জ হবে। এমনিতেই হুয়ান রেনেসো কঠিন চাপে রয়েছেন। তারপর ওপর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ম্যাচ।

চিলির বিপক্ষে আগের ম্যাচে হারের পর তো তারা গোপনে দেশে ফেরে। ক্ষুদ্ধ সমর্থকদের মুখোমুখি যেনো না হতে হয় সে জন্য ভোর হওয়ার আগেই তারা বিমানবন্দর ছেড়ে বাড়ির উদ্দেশে চলে গিয়েছিলেন তারা।

Exit mobile version