গোলের দেখা পাচ্ছিলেন না জুডে বেলিংহাম। জুলাইয়ে কাঁধের অস্ত্রোপচারের পর থেকে দীর্ঘ সময় মাঠের বাইরে ছিলেন তিনি। মাঠে ফিরলে পুরো ম্যাচ খেলানো হয়নি। এমনকি জাতীয় দলের কোচ তাকে দলে রাখেননি। সেই বেলিংহাম পুরো ৯০ মিনিট খেলেছেন জুভেন্টাসের বিপক্ষে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বুধবার রাতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে রিয়ালের উদ্ধারকর্তাও তিনি। জুভেন্টাসকে যে এক গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ সেই গোলটা বেলিংহামের। এ গোলেই রিয়াল মাদ্রিদ উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শতভাগ জয়ের কীর্তি ধরে রেখেছে। তিন ম্যাচ থেকে তাদের সংগ্রহ ৯ পয়েন্ট।
নিজেদের মাঠের এ খেলায় রিয়াল মাদ্রিদের ওপর একটা বাড়তি চাপ ছিল। সামনে এল ক্ল্যাসিকো। এমন ম্যাচের আগে ভালো করার বিকল্প ছিল না। অথচ তাদের শুরুটা ছিল নড়বড়ে। প্রথম ১৫ মিনিটে অন্তত তিনবার রিয়াল সমর্থকদের হৃদস্পন্দন বন্ধ করে দিয়েছিল জুভেন্টাস। কঠিন পরীক্ষায় ফেলেছিল রিয়াল মাদ্রিদকে। সপ্তম মিনিটে কালুলুর বাড়ানো বল আটকান রাউল অ্যাসেনসিও। দশম মিনিটে ওয়েস্ট ম্যাকিকির শট বেরিয়ে যায় পোস্ট ঘেঁষে। এছাড়া চতুর্দশ মিনিটে ফেদেরিকো গাত্তির শট প্রতিহত করেন গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়া।
বিরতির আগে রিয়াল মাদ্রিদ একমাত্র সুযোগটি পায় ৪০ মিনিটে। কিলিয়ান এমবাপ্পের শট ফিরিয়ে দেন জুভেন্টাস গোলরক্ষক মিকেল গ্রেগরি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে বেলিংহামের গোলের পথে তিনি বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেননি।
ভিনিসিয়ুস জুনিয়র কয়েকজনকে কাটিয়ে যে শট নিয়েছিলেন তা পোস্টে লেগে ফিরে আসে। কাছেই ছিলেন বেলিংহাম। সহজেই বল জালে জড়িয়ে দেন ২২ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার। ২০২৫-২৬ মৌসুমে এটা তার প্রথম গোল।
বেলিংহামের এই গোলেই জয় এসেছে রিয়াল মাদ্রিদের। আর হার জুভেন্টাসের। তিন ম্যাচের একটিতে জয় পায়নি ইতালিয়ান ক্লাবটি। আগের দুই ম্যাচ থেকে তাদের সংগ্রহ দুই পয়েন্ট, তিন ম্যাচ শেষেও সেখানেই থাকলো তারা।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩

















