ফুটবলের দলীয় সবচেয়ে বড় পুরস্কার বিশ্বকাপ ফুটবল। একই খেলায় সবচেয়ে ব্যক্তিগত বড় পুরস্কার ব্যালন ডি অর। মর্যাদাপূর্ণ এ পুরস্কারটির প্রতি সব নামীদামী খেলোয়াড়ের আগ্রহ থাকে। পুরস্কারটি না পাওয়ার অর্থই হচ্ছে ফুটল জীবনে অপূর্ণতা। ১৯৫৬ সাল থেকে ফ্রান্সের সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ‘ফ্রান্স ফুটবল’ এই পুরস্কার দিয়ে আসছে। এবার ফ্রান্স ফুটবল এবং সংবাদমাধ্যম লেকিপের মালিক আমাউরি গ্রুপ ইউরোপীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা উয়েফার সঙ্গে নতুন একটি চুক্তি করেছে।
উয়েফা এ কার্যক্রমে যোগ দিলেও ব্যালন ডি অরের মালিকানা ও বিশ্বব্যাপী ভোটগুলো প্যারিসভিত্তিক আমাউরি গ্রুপ্র তদারকি করবে। বিপণনের বাণিজ্যিক স্বত্বের তদারকী করবে উয়েফা। পাশাপাশি পুরস্কারের গালা অনুষ্ঠান আয়োজনেও সহায়তার হাত বাড়াবে তারা। এ ছাড়া আগামী বছর থেকে দুটি বাড়তি পুরস্কারও এতে সংযোজিত হতে যাচ্ছে; যেখানে বর্ষসেরা নারী ও পুরুষ কোচের পুরস্কারও দেওয়া হবে।
নুতন এই কার্যক্রমে বেশ উজ্জ্বীবিত আমাউরি গ্রুপের প্রধান জেন এতিনে আমাউরি। তিনি বলেন, আমরা ব্যালন ডি অর অনুষ্ঠান আয়োজনের এই অংশীদারীত্ব গড়তে পেরে দারুণ আনন্দিত। ফ্রান্স ফুটবল ১৯৫৬ সালে এই পুরস্কারটি চালু করে। একই বছর ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ক্লাব’স কাপেরও যাত্রা শুরু হয়। তাই উয়েফা ও ব্যালন ডি অরের ইতিহাসের মধ্যেও মিল রয়েছে। ১৫ বছরের মধ্যে এই আয়োজন বিশ্বব্যাপী সংবাদমাধ্যমের সহযোগিতায় বৈশ্বিক আকার পায়।
বার্ষিক এই পুরস্কার প্যারিসে অনুষ্ঠিত হলেও ২০২৪ সালের পর থেকে পুরস্কারটি ইউরোপের অন্য বড় শহরে আয়োজিত হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছে আমাউরি। নতুন এই চুক্তি নিয়ে উয়েফা সভাপতি আলেক্সান্দার সেফেরিন বলেছেন, এর মধ দিয়ে ফুটবলের পৃথিবীর সেরা দুটি ব্র্যান্ড একত্রিত হলো। একদিকে ফুটবলের ট্রফি ব্যালন ডি অর এবং অন্য দিকে উয়েফা বিশ্বের সেরা প্রতিযোগিতাটির আয়োজক। যে কারণে যৌথভাবে কিছু করা অর্থপূর্ণ। সব খেলোয়াড়ের স্বপ্ন থাকে উয়েফার প্রতিযোগিতা এবং ব্যালন ডি অর জেতা।’
১৯৫৬ সালে যাত্রা শুরুর পর ইউরোপ থেকে আগত ফুটবলারকে কেবল ব্যালন ডি অর দেওয়া হতো। ১৯৯৫ সাল থেকে এটি বিস্তৃতি লাভ করে এবং ইউরোপীয় ক্লাবে খেলা খেলোয়াড়দের পুরস্কারের আওতায় আনা হয়। ২০০৭ সাল থেকে এটি বৈশ্বিক রূপ লাভ করে এবং এরপর থেকে পৃথিবীর সব খেলোয়াড়কে পুরস্কারের জন্য বিবেচিত করা হয়। ২০১০ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত এ পুরস্কার প্রদানে যুক্ত হয় ফিফাও। তখন এটিকে বলা হতো ফিফা ব্যালন ডি অর।
ফিফার সঙ্গে অংশীদারত্ব শেষ হওয়ার পর ২০১৬ সাল থেকে আবারও এককভাবে এ পুরস্কার দিয়ে আসছিল ফ্রান্স ফুটবল। সাম্প্রতিক সময়ে কিছু পরিবর্তন আনা হয়, নতুন নিয়ম অনুসারে পঞ্জিকাবর্ষের পারফরম্যান্সের পরিবর্তে এক মৌসুমের পারফরম্যান্সকে পুরস্কারের জন্য বিবেচনা করা হয়।