ভারতকে হারাতে চায় জামালরা । এএফসি এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলার স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে বাংলাদেশের। অবশ্য ভারতও ছিটকে গেছে বাছাইপর্ব থেকে। তবুও দুই দলের মঙ্গলবারের লড়াই নিয়ে উত্তেজনা ও আগ্রহের বিন্দুমাত্র কমতি নেই। লাল-সবুজ জার্সিধারীদের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার কণ্ঠেও শোনা গেল সেই সুর। ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ভারত। খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত আটটায়।
তার আগে ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে কোচ হাভিয়ের কাবরেরার সঙ্গে হাজির হন জামাল। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে তিনি বলেন,‘এটা অনেক আবেগময় ম্যাচ, হাইভোল্টেজ ম্যাচ। এই ম্যাচের পর জাতীয় দলের জন্য অনেক লম্বা বিরতি আছে। বছরটা যদি জয় দিয়ে শেষ করতে পারি, তা শুধু আমাদের জন্যই নয়, সমর্থক ও আপনাদের সবার জন্যও ইতিবাচক হবে। তাই আমার জন্য ম্যাচটি আবেগের। একই সঙ্গে আমাকে মস্তিষ্ক ব্যবহার করে খেলতে হবে।’
বাংলাদেশ ও ভারত ম্যাচ নিয়ে তিনি আরও বলেন,‘ম্যাচে অনেক ফ্রি-কিক হবে, হলুদ কার্ড হবে, গালাগালি হবে। আমি যদিও এটাকে স্বাভাবিক ম্যাচ হিসেবেই ধরব। তবে এই ম্যাচের তাৎপর্য আমি জানি।’
শেষবার ভারতকে বাংলাদেশ হারিয়েছিল দীর্ঘ ২২ বছর আগে। ঢাকায় ২০০৩ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে ২-১ গোলে জিতেছিল তারা। এবার খরা কাটানোর দারুণ সুযোগ দেখেন অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার, ‘আমরা যে অবস্থায় আছি, এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী স্কোয়াড। তাই অবশ্যই আমাদের একটা বড় সুযোগ আছে ভারতকে হারানোর।’
এছাড়া হামজা চৌধুরীর সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে তার ভাষ্য,‘হামজা বিদেশ থেকে এসেছে আমার মতো। আমাদের মধ্যে বোঝাপড়া খুব ভালো। হামজার যখনই কোনো সমস্যা হয়, আমাকে টেক্সট করে বা কল করে। ফুটবল নিয়ে কোনো জিজ্ঞাসা থাকলে আমি হামজাকে জানাই। আমি সৌভাগ্যবান যে হামজাকে অ্যাসিস্ট করতে পেরেছি। একটা কর্নার থেকে হেড, আরেকটা বাইসাইকেল কিক। বাইসাইকেল কিকে গোলটা আমার দেখা বাংলাদেশের অন্যতম সেরা। হামজার গোলের র্যাঙ্কিং করলে এটা অবশ্যই এক নম্বরে থাকবে।’
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩
















