রাত দেড়টায় দিকে বিমানবন্দরে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেয়া হলো প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপে জায়গা করে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে। সেখান থেকে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় হাতিরঝিলের অ্যাাম্ফিথিয়েটারে। রাত আড়াইটায় শুরু হওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেও উপস্থিত ছিলেন বাফুফে কর্তা থেকে শুরু করে সাবেক ফুটবলার ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। সংবর্ধনায় আপ্লুত আফঈদা খন্দকার ও ঋতুপর্ণা চাকমারা জানালেন তাদের স্বপ্নের কথা। বললেন, আগামী বছরের মার্চে এশিয়ান কাপের মূলপর্ব থেকে বিশ্বকাপে জায়গা করে নেয়ার লক্ষ্যের কথা।
মিয়ানমার থেকে থাইল্যান্ড হয়ে রাত দেড়টার দিকে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দ পৌঁছানোর পরই ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয় ফুটবলারদের। করানো হয় মিষ্টিমুখ। সেখান থেকে খেলোয়াড়, কোচ, টিম স্টাফদের নিয়ে যাওয়া হয় হাতিরঝিলের অ্যাম্ফিথিয়েটারে।
এসময় টিম বাস থেকে হাসি মুখে গণমাধ্যকর্মী ও উপস্থিত সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নেড়ে অভিনন্দন জানান অধিনায়ক আফঈদা খন্দকারসহ অন্য ফুটবলাররা।
হাতিরঝিলে পৌঁছানোর পর সেখানেও ফুটবলারদের আরেকদফা ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়। সংবর্ধনার মঞ্চে যেখানে বিশাল আকারের বোর্ডে লেখা ছিলো ‘কোয়ালিফাইড’।
ব্যান্ড মিউজিকের তালে যখন বেজে উঠলো, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের “মোরা ঝঞ্ঝার মতো উদ্দাম…. শতদল” সঙ্গীত। উল্লাসে ফেটে পড়েন উপস্থিত সবাই। অনুষ্ঠানের পুরোটা সময় নারী ফুটবলারদের মুখে হাসি ছিলো।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সাবেক তারকা ফুটবলার ও ঢাকা উত্তরের বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক স্বাগত বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, ‘এটাই বাংলাদেশের ফুটবল ক্রেজ। বাংলাদেশের মানুষ ফুটবলকেই যে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন, এটাই তার প্রমাণ। আমি আশা করি এই মেয়েরা এশিয়ান কাপ থেকে আমাদের বিশ্বকাপ ও অলিম্পিকের মঞ্চে নিয়ে যাবে।’
বলা যায় পুরো আয়োজনের মধ্যমণি ছিলেন মিয়ানমার ম্যাচে জোড়া গোল করা ঋতুপর্ণা চাকমা। বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন জানিয়ে ঋতুপর্ণা বলেন, ‘আমি শুরুতেই আপনাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি যারা এতো রাতে আমাদের বরণ করতে এসেছেন। আমরা মেয়েরা জানি কিভাবে প্রতিকূল পরিবেশে লড়াই করতে হয়। আপনারা আমাদের উপর বিশ্বাস রাখবেন, আমরা আপনাদের হতাশ করবো না। আমরা শুধু এশিয়ার মঞ্চেই থেমে থাকতে চাই না, বিশ্বমঞ্চেও বাংলাদেশকে নিয়ে যেতে চাই।’
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩

















