বড় ধাক্কা হজম করতে হলো ইংলিশ ক্লাব লিভারপুলকে। ইউরোপা লিগে যে তুলুজের কাছে কখনো হারেনি, প্রতিযোগিতার ১৫০তম ম্যাচে সেই তুলুজ তাদের থমকে দিয়েছে। বৃহষ্পতিবার রাতে ‘ই’ গ্রুপের ম্যাচে ইংলিশ ক্লাবটিকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে ফরাসি ক্লাব তুলুজ।
দূর্ভাগ্য লিভারপুলের। ইয়ুর্গেন ক্লপের ৪৫০তম ম্যাচে ড্র করে ফেরার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল দ্য রেডসদের। শেষ বাঁশি বাজার আগে গোলও করেছিল তারা। কিন্তু আক্রমণের শুরুতে হ্যান্ডবল হয়ে এমন অজুহাতে গোলটি বাতিল করা হয়।
আগে লিভারপুলের বিপক্ষে কখনোই জয় না পাওয়া তুলুজ ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ভূমিকায় ছিল। উভয়ার্ধে এক গোল করে এক পর্যায়ে তারা ২-০ গোলে এগিয়ে যায়।
তুলুজ প্রথম গোলটি পায় ৩৬ মিনিটে। অ্যারন ডোনুম করেন গোলটি। বিরতির পর থিস ডালিঙ্গা ব্যবধান দ্বিগুন করেন। ৭৩ মিনিটে এক আত্মঘাতি গোলের সুবাদে লিভারপুল ব্যবধান কমায়। কিন্তু এ গোলের উৎসব শেষ হতে না হতেই তাদের হতাশায় ডুবিয়ে দেন ফ্রাঙ্ক মাগরি। মাত্র তিন মিনিট ব্যবধান মাগরি আবার স্বাগতিক দলকে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে নেন।
৮৯ মিনিটে গোল করে দিয়াগো হোতা ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দলটির সামনে পয়েন্ট পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করেন। এই সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার সব ব্যবস্থা করেছিলেন জারেল কোয়ানশা। ইনজুরি সময়ের নবম মিনিটে সমতা সূচক গোলটি করেছিলেন তিনি। কিন্তু ভিএআর দেখে রেফারি গোল বাতিল করেন। আক্রমণের শুরুতে অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টারের হাতে বল লাগার অভিযোগ গোলটি বাতিল করা হয়।
ম্যাচ শেষে লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ বলেন, আমরা তৃতীয় গোল করেছিলাম। আমার বিশ্বাস একটা শতভাগ খাঁটি গোল। এটি হ্যান্ডবল ছিল কিনা তা নিশ্চিত নই। যাহোক এখন আর কিছুই করার নেই।
এ ম্যাচে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন লুইস দিয়াজ। প্রথম একাদশেই ছিলেন। দ্বিতীয়ার্ধের শেষের দিকে তাকে বদলি করা হয়েছিল। দিয়াজের বাবাকে অপহরণ করা হয়েছিল। ম্যাচের দিন সকালে তিনি মুক্তি পান।
হার সত্ত্বেও লিভারপুল পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। ৪ ম্যাচ শেষে তাদের পয়েন্ট ৯। তুলুজের সংগ্রহ ৭। এ জয়ের ফলে তাদের নক আউটে খেলার সম্ভাবনা জোরালো হয়েছে।