মাঠে না নামলেও গ্যালারিতে থেকে আর্জেন্টিনার জয় দেখলেন মেসি!

লিওনেল মেসি ছিলেন না মাঠে, কিন্তু তার উপস্থিতি যেন বাতাসে মিশে ছিল অনুপ্রেরণার মতো। গ্যালারিতে বসেই সতীর্থদের লড়াই দেখেছেন বিশ্বসেরা এই তারকা, আর মাঠে সেই অনুপ্রেরণাকে বাস্তবে রূপ দিয়েছে তার দল। আক্রমণাত্মক ফুটবলে ভেনেজুয়েলাকে ১-০ গোলে হারিয়ে জয় পেয়েছে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা।

শনিবার (১১ অক্টোবর) ভোরে যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে ফিফা প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হয় দুই দল। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো ম্যাচে একপেশে আধিপত্য ছিল আর্জেন্টিনার। বল দখলে ৭৭ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ রেখে স্কালোনির দল নেয় ১৭টি শট, যার ৯টি ছিল লক্ষ্যে। নির্ধারক গোলটি আসে জিওভান্নি লো সেলসোর পা থেকে।

অন্যদিকে ভেনেজুয়েলা ছিল প্রায় নিস্তেজ। তারা ৫টি শট নিলেও একটিও ছিল না লক্ষ্যে। গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজের দৃঢ়তা ও রক্ষণভাগের শৃঙ্খলায় ভেনেজুয়েলার সব আক্রমণ থেমে যায় মাঝপথেই। জাতীয় দলের হয়ে এটি মার্টিনেজের ৫৬তম ম্যাচ, আর এর মধ্যে ৩৯টি ম্যাচেই তিনি রাখলেন ক্লিনশিট— যা নিজেই এক দৃষ্টান্ত।

প্রথমার্ধে মেসির সামনেই দেখা যায় ম্যাচের সবচেয়ে নাটকীয় মুহূর্তের। ৩০ মিনিটে গ্লেইকার মেন্দোজার নিখুঁত ক্রস থেকে প্রায় নিশ্চিত গোলের সুযোগ পান ভেনেজুয়েলার আলেহান্দ্রো মারকুয়েস। কিন্তু ফাঁকা পোস্ট পেয়েও হেড পাঠান গ্যালারিতে— আর তখনই গ্যালারিতে বসে মৃদু হাসি মেসির মুখে।

মাত্র এক মিনিট পরই ঘটে বিপরীত চিত্র। লাওতারো মার্টিনেজের পাস থেকে বাঁ পায়ে নিখুঁত শটে গোল করেন লো সেলসো। গোলরক্ষক চেষ্টা করেও ঠেকাতে পারেননি বলটি। দলগত ফুটবলের নিখুঁত উদাহরণ হয়ে ওঠে এই গোল।

বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব শেষে এটি ছিল আর্জেন্টিনার প্রথম প্রীতি ম্যাচ— ২০২৬ বিশ্বকাপের প্রস্তুতির সূচনা বলা যায় এখান থেকেই। মেসি ছাড়া দলে ভারসাম্য বজায় রাখা এবং তার বিকল্প খোঁজার চ্যালেঞ্জ ছিল কোচ লিওনেল স্কালোনির সামনে। ম্যাচ শেষে তিনিও স্বীকার করেন, রক্ষণ ও আক্রমণ দুই বিভাগেই এখনো আরও শান দিতে হবে।

তবু মেসি যখন গ্যালারিতে বসে হাসিমুখে সতীর্থদের জয় উদযাপন দেখেন, তখন সেটাই বোঝায়— এই আর্জেন্টিনা এখনো তার ছায়াতেই আত্মবিশ্বাসে ভরপুর, যেমনটা থাকে এক সত্যিকারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নের দল।

Exit mobile version