বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেট, বিপিএলের ১১তম আসর শুরু হলো হাই স্কোরিং ম্যাচ দিয়ে। মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩ উইকেটে ১৯৭ রান তোলে দুর্বার রাজশাহী। বড় রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ১১ বল হাতে রেখেই টপকে যায় বরিশাল। ৬ উইকেটে ২০০ রান তুলে নেয় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
১৯৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে একপর্যায়ে ৮ ওভার এক বলে ৬১ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছিলো বরিশাল। সেখান থেকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও পাকিস্তানী রিক্রুট ফাহিম আশরাফের ঝড়ো হাফসেঞ্চুরি বরিশালকে সহজ জয় এনে দেয়।
ম্যাচসেরা মাহমুদউল্লাহ ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করার পর ২৬ বলে ৫৬ রান তুলে অপরাজিত ছিলেন। অন্যদিক ফাহিম আশরাফ ২১ বলে অপরাজিত ৫৪ রান করেন। মাহমুদউল্লাহর ইনিংসে ছিলো ৫ বাউন্ডারি ও ৫ ছক্কা। অন্যদিকে, ফাহিম আশরাফের ব্যাটে এক বাউন্ডারির বিপরীতে এসেছে ৭ ছক্কা।
এর আগে, টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩ উইকেটে ১৯৭ রানের বড় সংগ্রহ পায় দুর্বার রাজশাহী। দলীয় ২৫ রানের মধ্যে দুই ওপেনার বিদায় নিলেও ইয়াসির আলী রাব্বির ঝড়ো ৯৪ ও অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়ের দায়ীত্বশীল ৬৫ তিন উইকেট হারানো রাজশাহীকে ১৯৭ রানের সংগ্রহ এনে দেয়।
ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল তার ছয় বোলারকে ব্যবহার করেও ইয়াসির আলী রাব্বি ও এনামুল হক বিজয়কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি।
৫২ বলে ৬৫ রান করা বিজয় ফাহিম আশরাফের বলে মুশফিকুর রহীমের হাতে ধরা পড়েন। অন্য দিকে ৪৭ বলে ৯৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন ইয়াসির আলী। ২০০ স্ট্রাইক রেটে করা তার ইনিংসে ছিলো ৭ বাউন্ডারি ও ৮ ছক্বা।
বিপিএল শুরুর আগে শেষ মুহুর্তে বরিশালে যোগ দেয়া পাকিস্তানের পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদি চার ওভারে ৩৩ রান দিয়েও ছিলেন উইকেটশূন্য। একমাত্র কাইল মায়ার্স ছাড়া বরিশালের আর কোন বোলারই সুবিধা করতে পারেন নি। তিন ওভারে ১৩ রান দিয়ে দুই উইকেট নিয়েছেন ক্যারিবীয় এই অলরাউন্ডার।
চার ওভারে ৪২ রান দিয়ে এক উইকেট নিয়েছেন পাকিস্তানের ফাহিম আশরাফ। অন্য তিন বোলারের মধ্যে রিপন মন্ডল চার ওভারে ৫৫ রান, তাসভির ইসলাম ৪৪ রান এবং মোহাম্মদ নবী এক ওভারে তিন রান দিয়ে ছিলেন উইকেট শূন্য।