পাকিস্তান বোলারদের তোপে একপ্রান্তে বৃষ্টির মতো উইকেট পতন। অন্য প্রান্তে ডেভিড মিলারের বাউন্ডারি বৃষ্টি। ধুম ধাড়াক্কা ব্যাটিং যাকে বলে। চার ও ছয়ের সম্মিলিত ব্যাটিং। যেখানে ছয়ের আধিক্য। ফলে সতীর্থদের ব্যর্থতা সত্ত্বেও স্কোর বোর্ডে দক্ষিণ আফ্রিকার সমৃদ্ধ সংগ্রহ। মিলারের ৪০ বলে ৮২ রানের ঝলমলে ইনিংসের সঙ্গে যোগ হয়েছিল জর্জ লিন্ডের ২৪ বলে ৪৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। যার ফলে ডারবানে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রান করেছিল স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। স্কোরটা প্রায় ছুয়েই ফেলেছিল পাকিস্তান। কিন্তু ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালানোর শেষ সময়ে বল হাতেও জাদু দেখালেন লিন্ডে। ২১ রানে ৪ উইকেট। ফলে যা হওয়ার তাই হলো। ১৭২ রান করে ১১ রানে হেরেছে পাকিস্তান। এর ফলে হারে শুরু হলো পাকিস্তানের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর।
টস জয়ের পর ব্যাট হাতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটা মোটেও স্বস্তির ছিল না। আবরার আহমেদের জোড়া আঘাতের পাশাপাশি শাহিন শাহ আফ্রিদির এক উইকেট শিকার প্রোটিয়াদের বিপদে ঠেলে দিয়েছিল। ২৮ রানের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার হারিয়েছিল ৩ উইকেট। সে অবস্থায় ডেভিড মিলারের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা। একের পর এক তিনি বলকে সীমানার বাইরে পাঠাতে থাকেন। ৪০ বলের ইনিংসে আটটি ছিল ওভার বাউন্ডারি, চারটি বাউন্ডারি। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকার রান বাড়তে থাকে তড়তড়িয়ে।
মিলারের পর তাণ্ডব চালিয়েছেন জর্জ লিন্ডে। তিন বাউন্ডারি ও চার ওভার বাউন্ডারিতে ২৪ বলে করেন ৪৮ রান। আফ্রিদি ও আবরার তিনটি করে উইকেট নিয়েও দক্ষিণ আফ্রিকাকে স্বল্প রানে বেঁধে রাখতে ব্যর্থ হন।
জবাবে পাকিস্তান অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান একাই লড়েছেন। তার সঙ্গে কিছু সময় সঙ্গ দিয়েছেন সাইম আইয়ুব। ৬২ বলে ৭৪ রান করেছেন রিজওয়ান। ১৫ বলে ৩১ ছিল আইয়ুবের সংগ্রহ। তবে হতাশ করেছেন সাবেক অধিনায়ক বাবর আজম। চার বলে বিনা রানে আউট হয়েছেন এই ওপেনার। তারপরও পাকিস্তান জয়ের ট্রাকে ছিলেন। কিন্তু হারিস রউফের ধীর গতির ব্যাটিং আর জর্জ লিন্ডের এক ওভারের বোলিংয়ে পাকিস্তানের হার নিশ্চিত হয়ে যায়। রউফ ১২ বলে করেছেন ২ রান। আর লিন্ডে তার শেষ ওভারে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ব্যাটিং ও বোলিংয়ে আলো ছড়িয়ে ম্যাচ সেরাও হয়েছেন তিনি।