ফুটবল ভক্তদের অপেক্ষার অবসান হচ্ছে। বাতাসে গুঞ্জন, এবারের ব্যালন ডি অর জিততে যাচ্ছেন লিওনেল মেসি। আজ রাতেই আনুষ্ঠানিকভাবে এবারের ব্যালন ডি’ অর জয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে। সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘ তর্ক বিতর্কের অবসানও হবে।
বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় ফ্রান্সে ব্যালন ডি অর অনুষ্ঠান শুরু হবে। বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার পর ঘোষণা হবে সেই কাঙ্খিত নামটি। অনুষ্ঠানে মনোনয়ন পাওয়া খেলোয়াড়দের পাশাপাশি সাবেক ও বর্তমান তারকা খেলোয়াড়রা উপস্থিত থাকবেন। প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দুইজন নয়, মনোনীত তালিকায় আছে ৩০ জন খেলোয়াড়ের নাম। গত ৬ সেপ্টেম্বর এই ত্রিশ খেলোয়াড়ের নাম ঘোষণা করা হয়। যার নেতৃত্বে লিওনেল মেসি।
ব্যালন ডি অরে বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে পুরস্কার দেওয়া হলেও অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ থাকে পুরুষ বর্ষসেরা ক্যাটাগরীতে। ফুটবল ভক্তদের মূল মনোযোগ থাকবে পুরুষদের তালিকায়। সে তালিকায় সর্বাধিক উচ্চারিত নাম লিওনেল মেসি ও আর্লিং হালান্ড। আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসির জন্য ব্যালন ডি অর খুবই স্বাভাবিক এক বিষয়। ক্যারিয়ারের সাতবার এই পুরস্কারটি জিতেছেন বিশ্বকাপ জয়ী এই অধিনায়ক। এবার অপেক্ষা অষ্টম ট্রফির।
ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে এসে দুই হাতে নিজের প্রাপ্য বুঝে নিচ্ছেন মেসি। ক্লাব ফুটবলের একের পর এক শিরোপার দেখা পেলেও জাতীয় দলের হয়ে প্রাপ্তির দরজাটা কিছুতেই খুলছিল না এই ফুটবল যাদুকরের। বারবার দরজায় আঘাত করে ফিরতে হচ্ছিল তাকে। মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্ব বা বৈশ্বিক, সব জায়গায় একই অবস্থা। শিরোপার নাগালই পাচ্ছিলেন না মেসি। বারবার রানার্স হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছিল।
একাধিকবার মহাদেশীয় টুর্নামেন্ট কোপা আমেরিকায় রানার্সআপ হয়েছেন। বিশ্বকাপেও দ্বিতীয় হয়ে থাকতে হয়েছে। অবশেষে ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে এসে ২০২১ সালে কোপা জয় করেছেন। আর ২০২২ সালে বিশ্বকাপ। ১৯৮৬ সালের পর এই প্রথম আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপের দেখা পায়। ২০২২ সালে মেসির নেতৃত্বে আর্জেন্টিনা “কনমেবল-উয়েফা কাপ অব চ্যাম্পিয়ন্স” শিরোপা জয় করে। মূলত বিশ্বকাপ জয় মেসিকে ব্যালন ডি অর জয়ের পথে রকেট গতিতে এগিয়ে দেয়।
অন্যদিকে নরওয়ের আর্লিং হালান্ড জাতীয় দলের হয়ে কোনো সাফল্য না পেলেও ক্লাব ফুটবলে ছিলেন অনন্য। একের পর এক ট্রফি জয় করেছেন। ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে ট্রেবল জয়ে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ২৩ বছর বয়সী এই গোল মেশিন সব ধরণের প্রতিযোগিতায় ৫৩ গোল করেছেন। ম্যানসিটির প্রায় সব খেলোয়াড়ই ট্রেবল জয় করেছেন তবে গোল সংখ্যাই হালান্ডকে মেসির প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। হালান্ড যদি ব্যালন ডি অর জয় করেন তাহলেও ২০০৮ সালের পর এই প্রথম সম্মানজনক এই পুরস্কারটি আবার প্রিমিয়ার লিগের কোনো খেলোয়াড়ের হাতে দেখা যাবে। ২০০৮ সালে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে ব্যালন ডি অর জয় করেছিলেন।