কমপক্ষে ৪৮ ঘন্টা আগে ম্যাচ ভেন্যুতে রিপোর্ট করার নিয়ম থাকলেও বসুন্ধরা কিংস ভিসাই পেয়েছে দেরি করে। ফলে ম্যাচের আগের দিন সোমবার (২৩ অক্টোবর ২০২৩ ইং) ঢাকা থেকে সরাসরি ম্যাচ ভেন্যুতে গিয়ে উপস্থিত হতে হয়েছিলো অস্কার ব্রুজোন শিষ্যদের। সব মিলিয়ে ভ্রমণক্লান্তি কাটানোর আগেই মাঠে নামতে হয়েছিলো। সেই ম্যাচটায় দু’দফা পিছিয়ে পড়ে ২-২ গোলের ড্র নিয়ে ফেরাটা বসুন্ধরা কিংসের জন্য অবশ্যই বিশেষ কিছু।
এই ম্যাচের পর ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষস্থান ধরে রাখলো মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। দুই জয়ের পর এক ড্র কোলকাতার ক্লাবটির। সমান ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীস্থানে বসুন্ধরা। বসুন্ধরা পরের তিন ম্যাচের দু’টিই খেলবে নিজের মাঠ কিংস অ্যারেনায়। অ্যাওয়ে ম্যাচটি খেলবে তুলনামূলক দুর্বল দল উড়িষ্যা এফসি’র বিপক্ষে।
ভুবনেশ্বরের কালিঙ্গা স্টেডিয়ামে, ম্যাচের ২০ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলো সবুজ-মেরুন ক্লাব মোহনবাগান। কিন্তু লিস্টন কোলাসোর গোলটি অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়। এর ৯ মিনিট পর দিমিত্রি পেত্রাতোসের গোলে লিড নেয় স্বাগতিকরা। অবশ্য বেশি সময় তারা লিড ধরে রাখতে পারেনি। ডরিয়েলটনের স্কোরে সমতায় ফেরে বসুন্ধরা কিংস।
বিরতির পর পরই বসুন্ধরার পক্ষে ডরিয়েলটন গোলের সুযোগ পেয়েও তা নষ্ট করেন। তার নেয়া শটটি বারে লেগে ফিরে আসে। ৫৪ মিনিটে আবারও লিড নেয় স্বাগতিক মোহনবাগান। আশিষ রাই বাদিকে বল পেয়ে মাটি কামড়ানো শটে দলকে এগিয়ে দেন। এই লিডও ধরে রাখা সম্ভব হয়নি মোহনবাগানের পক্ষে। আশিষ রাইয়ের ভুলেই। ডি বক্সের মধ্যে রবসন রবিনহোকে আশিষ রাই ফাউল করলে রেফারি পেনাল্টির বাশি বাজান। সুুযোগ নষ্ট করেন নি বসুন্ধরা অধিনায়ক। তার নেয়া শট মোহনবাগানের গোলরক্ষক বিশাল কাইতের হাতে লাগলে তা ঠিকিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি।
ম্যাচ ২-২ সমতায় থাকার সময় মাঠ খেলোয়াড়দের মধ্যে বেশ উত্তেজনা তৈরি হয়েছিলো। এই সময় মোহনবাগানের কোচ জুয়ান ফেরান্ডো বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড়দের সাথে তর্কে জড়ান। বিষয়টি ছিলো খুবই দৃষ্টিকটু। তিন্তু এই বিষয়ে রেফারির ভূমিকা ছিলো নির্বাক দর্শকের মতো।