ম্যানসিটির হয়ে ফিল ফোডেন জোড়া গোল করেছেন। আর্লিং হালান্ড করেন অন্য গোলটি। ৮ম মিনিটে ম্যানইউকে এগিয়ে দেয়া গোলটি করেছিলেন মার্কাস রাশেফোর্ড।
এখন নামেই শুধু ম্যানচেস্টার ডার্বি। ম্যানচেস্টারের দুই ক্লাবের লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতার যে পারদ চড়তো তা এখন উধাও। দুই দলের শক্তির পার্থক্যও বিস্তর। রোববার রাতে ম্যানচেস্টার সিটির মাঠে দাঁড়াতেই পারলো না ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। অ্যাওয়ে ম্যাচে আগে গোল করেও ১-৩ গোল হেরেছে ম্যানইউ।
বড় ব্যবধানে হারলেও ম্যাচের প্রথম চমকটা দেখিয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। মাত্র অষ্টম মিনিটে গোল করে মার্কাস রাশফোর্ড ম্যানইউকে এগিয়ে নিয়েছিলেন। খেলার ধারার বিপরীতে এ গোলটি পায় সফরকারী দল।
রাশফোর্ডের এ গোলটা ম্যানসিটির জন্য ছিল বড় এক আঘাত। কেননা শিরোপা জয়ের যে স্বপ্ন তারা দেখছে তা ভেস্তে দিতে পারতো এ গোলটি। কিন্তু ম্যানসিটি মাঠে যথেষ্ঠ ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়েছে, আধিপত্য বিস্তার করেছে এবং তার ধারাবাহিকতায় সাফল্যও পেয়েছে। দ্বিতীয়ার্ধে একের পর এক গোল তুলে নিয়েছে।
৫৬তম মিনিটে ফিল ফোডেন স্বাগতিকদের সমতায় ফেরান। কিন্তু শিরোপা রেসে পিছিয়েপড়া ঠেকাতে এই এক গোল যথেষ্ঠ ছিলো না। ম্যাচের বয়স ৮০তম মিনিটে আবারও দলের ত্রাণকর্তা হয়ে এলেন ফিল ফোডেন। দলকে এনে দিলেন কাঙ্খিত লিড।
ইনজুরি সময়ে অর্থাৎ ম্যাচের ৯১তম মিনিটে ব্যবধানটা বাড়িয়ে নেন আর্লিং হালান্ড।
লিভারপুল ও ম্যানচেস্টার সিটি এখন একে অপরের চোখে চোখ রেখে সামনে এগিয়ে চলেছে। ২৭ ম্যাচ থেকে লিভারপুলে সংগ্রহ ৬৩ পয়েন্ট। সমান ম্যাচ থেকে ম্যানসিটির পয়েন্ট ৬২। ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে ম্যানইউ রয়েছে ষষ্ঠ স্থানে।