রিয়ালকে স্তদ্ধ করে বার্সেলোনার সুপার কোপা জয়

শিরোপা জয়ী বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা

খেলার বয়স পাঁচ মিনিট হতে না হতেই কিলিয়ান এমবাপ্পের গোল। শুরুতেই গোল পেয়ে উচ্ছ্বসিত রিয়াল মাদ্রিদের সমর্থকরা। কিন্তু তাদের এই উচ্ছ্বাস যে এভাবে মাটিতে মিশে যাবে তা হয়তো কল্পনাতেও আনেনি তারা। শুরুতেই গোল হজম করলেও প্রথমার্ধেই রিয়াল মাদ্রিদকে মাটিতে নামিয়ে আনে বার্সেলোনা। একে একে প্রথমার্ধে চারবার রিয়াল মাদ্রিদের জালে বল পাঠায় তারা। আর তাতেই নিশ্চিত হয়ে যায় বার্সেলোনার সুপার কোপা জয়। সব মিলিয়ে সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত ফাইনাল ম্যাচে ৫-২ গোলে রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে বার্সেলোনা ১৫তম সুপার কোপা জয় করেছে।

বার্সেলোনার হয়ে লামিনে ইয়ামাল, রবার্ট লেফানদোভস্কি, রাফিনহা ও আলেহান্দ্রো গোল করেন। রাফিনহা করেন জোড়া গোল। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে স্কোরশিট নাম লেখান কিলিয়ান এমবাপ্পে ও রদ্রিগো।

ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদকে একেবারে উড়িয়ে দিয়েছে বলা যায়। রিয়ালের অবস্থা ছিল অনেকটা অসহায়ের মতো। দ্বিতীয়ার্ধের পুরোটা সময় একজন বেশি নিয়ে খেলেও তারা বার্সেলোনার কোনো ক্ষতি করতে পারেনি। ৫৬ মিনিটের সময় বার্সেলোনার গোলরক্ষক ভয়চেক সেজনি লাল কার্ড দেখে বহিষ্কৃত হন। লম্বা একটা সময় বেশি খেলোয়াড় নিয়ে খেলেও রিয়াল মাদ্রিদ লজ্জা এড়াতে পারেনি।

এবারের সুপার কোপা জয়ের মাঝ দিয়ে বার্সেলোনার পাশে এসে বসার সুযোগ ছিল রিয়াল মাদ্রিদের। বার্সেলোনা ১৪ এবং রিয়াল মাদ্রিদ ১৩ শিরোপা নিয়ে এ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল। কিন্তু বার্সেলোনার পাশে তাদের বসা হয়নি, বরং ব্যবধানটা আরও বেড়েছে। বার্সেলোনার এটা ১৫তম সুপার কোপা জয়। অন্যদিকে রিয়াল মাদ্রিদ থাকলো সেই তেরতে। শুধু শিরোপা সংখ্যার পার্থক্য বেড়েছে তা নয়, রিয়াল মাদ্রিদের বেড়েছে অস্বস্তিও।

এবারের জয়ের মাঝ দিয়ে বার্সেলোনা শিরোপা খরাও এড়ালো। এক বছরের বেশি সময় তারা শিরোপার দেখা পায় না। অন্যদিকে রিয়াল মাদ্রিদের সামনে ছিল এ মৌসুমে তৃতীয় শিরোপা জয়ের হাতছানি। ইউরোপিয়ান সুপার কাপ ও ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ জয়ের পর সুপার কোপা জয়ের সুযোগ ছিল তাদের সামনে।

দারুণ এক গোলে এমবাপ্পে ম্যাচের শুরুতেই রিয়াল মাদ্রিদকে এগিয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু দ্রুতই বার্সেলোনা ম্যাচে ফিরে আসে। লামিনে ইয়ামাল ২২ মিনিটে গোল ফিরিয়ে দেন। ফাউলের সুবাদে পাওয়া পেনাল্টি থেকে রবার্ট লেফানদোভস্কি ৩৬ মিনিটে গোল করে বার্সেলোনাকে এগিয়ে নেন। এ গোলের উচ্ছ্বাস শেষ হতে না হতেই রাফিনহা বার্সা সমর্থকদের গোল উপহার দেন। অসাধারণ এক হেডে ৩৯ মিনিটে গোল করেন তিনি। ইনজুরি সময়ের আগে আবার রিয়াল মাদ্রিদকে গোল হজমের লজ্জায় ডুবতে হয়। এবার স্কোরশিটে নাম লেখান আলেহান্দ্রো। বিরতির পর আবার গোল করেন রাফিনহা। পরে রিয়াল মাদ্রিদ ব্যবধান কমিয়ে ৫-২ করে।

Exit mobile version