ইউরোপের সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ ক্লাব টুর্নামেন্টে রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে অভিষেক করে ইতিহাস গড়লেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার ফ্রাঙ্কো মাস্তান্তুয়োনো। এর আগে এই সম্মানের অংশীদার ছিলেন ব্রাজিলিয়ান তরুণ এন্ড্রিক ফেলিপে, যিনি গত মৌসুমে লিলের বিপক্ষে অভিষেক করেছিলেন বয়স মাত্র ১৮ বছর ৭৩ দিনে। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে মাস্তান্তুয়োনো রিয়ালের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে নতুন রেকর্ড স্থাপন করেছেন, বয়স ছিল কেবল ১৮ বছর ৩৩ দিন।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রিয়াল মাদ্রিদের ইউরোপের এই মর্যাদাপূর্ণ আসরের প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষ ছিল ফরাসি ক্লাব অলিম্পিক মার্সেই। ম্যাচটি শেষ হয়েছে ২-১ গোলে রিয়ালের জয়-এ, যেখানে কিলিয়ান এমবাপের পেনাল্টিতে দুইটি গোল করেছিলেন। এই জয়ে লস ব্লাঙ্কোসরা ইউরোপের নতুন মরশুম শুরু করেছে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে।
এত দিন পর্যন্ত রিয়ালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড়ের রেকর্ডটি ছিলেন রাউল গঞ্জালেসের, যিনি ১৯৯৫ সালে আয়াক্সের বিপক্ষে অভিষেক করেছিলেন বয়স ১৮ বছর ৭৮ দিনে। এরপর সেই রেকর্ড ভেঙে প্রথম হয়েছেন এন্ড্রিক ফেলিপে, আর এবার সেই রেকর্ডকে নতুন করে লিখলেন মাস্তান্তুয়োনো। চলতি মৌসুমের শুরুতেই আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই ৬ বছরের চুক্তিতে তার জন্মভূমি ক্লাব রিভারপ্লেট থেকে রিয়ালে যোগ দেন। এই ট্রান্সফারের জন্য লস ব্লাঙ্কোসরা ব্যয় করেছে ৫৩ মিলিয়ন ডলার।
রিয়ালের হয়ে যোগ দেওয়ার মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই মাস্তান্তুয়োনো নিজেকে দর্শকদের প্রিয় খেলোয়াড় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে শুরু করেছেন। তার উপস্থিতি এবং খেলার ধাঁচ এমনভাবে আকর্ষণ তৈরি করছে যে, কোরাসে তার নাম উচ্চারণ করা হয় যেন একজন অভিজ্ঞ তারকা ফুটবলারের মতো। যদিও গতকালের ম্যাচে গোল করার সামান্য সুযোগ মিস করেছেন, তার প্রাণবন্ত খেলা এবং মাঠে সক্রিয় উপস্থিতি ইতিমধ্যেই প্রশংসিত হচ্ছে।
এই তরুণ তারকা সামনে আরও বড় ফ্রেমে খেলতে চলেছেন। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে চিলিতে শুরু হচ্ছে অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবল বিশ্বকাপ, যেখানে তাকে নিয়ে খেলতে চায় আর্জেন্টিনা। তবে রিয়াল মাদ্রিদ কোচ জাভি আলোনসো ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, তার অধীনে থাকা গুরুত্বপূর্ণ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এবং লা লিগার ম্যাচের কারণে তিনি চান না মাস্তান্তুয়োনো বিশ্বকাপে অংশ নিক। কোচের কথায়, “বিষয়টা আমার হাতে থাকলে, আমি তাকে অনুমতি দিতাম না”।
