কাতার বিশ্বকাপে স্বপ্ন ভঙ্গের পর ইউরোতে চরম ব্যর্থ! ইউরোতে পর্তুগালের হয়ে গোল উদযাপনের চেয়ে পেনাল্টিতে ব্যর্থ হয়ে কান্নার ছবিটাই হয়তো লোকের কাছে বেশি তরতাজা। নিজের ও দলের মুখ থুবড়ে পড়ার হতাশার ছবিও মুছে যাওয়ার কথা নয়।
তবও আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরের ভাবনা একবারও আসেনি। এমনকি নিকট ভবিষ্যতে বিদায়ের সম্ভাবনা নেই, স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন ৩৯ বছর বয়সী পর্তুগাল ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। বরং এখনও জাতীয় দলে নিজেকে অপরিহার্য মনে করেন তিনি।
প্রথম ফুটবলার হিসেবে ছয়টি ইউরোতে অংশ নেওয়ার ইতিহাস গড়ে এবারের ইউরো শুরু করেছিলেন রোনালদো। কিন্তু পরের গল্পটুকু হতাশার। একটি গোলও তিনি করতে পারেননি। তার দল পর্তুগাল প্রথম দুই ম্যাচে জিতলেও গ্রুপের শেষ ম্যাচে হেরে যায়।
শেষ ষোলোর লড়াই গোলশূন্য থাকার পর টাইব্রেকারে জিততে পারে তারা স্লোভেনিয়ার সঙ্গে। কোয়ার্টার-ফাইনালে আরেকটি গোল ম্যাচের পর ফ্রান্সের কাছে টাইব্রেকারে হেরে তারা বিদায় নেয়।
গোটা টুর্নামেন্টে রোনালদো তেমন কোনো প্রভাব রাখতে পারেননি। পারফরম্যান্সে ছিল না ধার। তাকে নিয়ে সমালোচনাও ছিল তীব্র। পর্তুগাল দলে তার শেষও দেখে ফেলেছিলেন অনেকে। তার অবসরের সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনাও কম হয়নি।
সেই রোনালদো জাতীয় দলের হয়ে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছেন উয়েফা নেশন্স লিগে। বৃহস্পতিবার ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করবেন তারা, রোববার লড়াই স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে।
পর্তুগালের অনুশীলন ক্যাম্পে যোগ দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে রোনালদো বললেন, নতুন প্রেরণায় উজ্জীবিত হয়ে মাঠে নামছেন তিনি দেশের হয়ে।‘যা কিছু করার, সংবাদমাধ্যমই করেছে। আমার ভাবনায় কখনোই আসেনি যে, পর্তুগালের হয়ে সময় শেষ আমার। বরং উল্টোটা, আরও বেশি অনুপ্রাণিত হয়েছি খেলা চালিয়ে যেতে।”
একই সাথে এখন জাতীয় দলে এসে নেশন্স লিগ জয়ের স্বপ্ন দেখছেন তিনি। রোনালদো বলেন, এর মধ্যেই আমরা এটি একবার জিতেছি এবং আবারও জিততে চাই। একই কথা হয়তো বারবার বলছি, কিন্তু সেটিই সত্যি যে, দীর্ঘমেয়াদে কিছু ভাবছি না আমি, নিকট ভবিষ্যৎ ভেবেই এগোচ্ছি।’
