র‍্যাঙ্কিংয়ের তলানিতে থেকেও বিশ্বকাপের স্বপ্ন দেখছে সান মারিনো

ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে ২১০তম স্থানে থাকা সান মারিনো ২০২৬ বিশ্বকাপের ইউরোপীয় অঞ্চলের বাছাইপর্বে এখন পর্যন্ত সাত ম্যাচে টানা হেরে গ্রুপ ‘এইচ’-এর একেবারে তলানিতে। এমন হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পরও যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোয় অনুষ্ঠিতব্য ৪৮ দলের বিশ্বকাপে খেলার গাণিতিক সম্ভাবনা এখনো টিকে আছে দলটির সামনে।

এই অপ্রত্যাশিত সম্ভাবনার পেছনে কারণ ২০২৪–২৫ মৌসুমের নেশনস লিগে তাদের অবিশ্বাস্য সাফল্য। বাছাইপর্ব শুরুর আগে অনুষ্ঠিত নেশনস লিগের গ্রুপ ডি১-এ শীর্ষে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করেছিল সান মারিনো। সেই অর্জনের কারণেই তারা এখনো প্লে-অফে খেলার সুযোগ ধরে রেখেছে।

২০২৬ বিশ্বকাপে ইউরোপ থেকে অংশ নেবে ১৬টি দেশ। এর মধ্যে বাছাইপর্বের ১২টি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন সরাসরি মূল পর্বে যাবে। আর প্রতিটি গ্রুপের রানার্সআপদের সঙ্গে প্লে-অফে যুক্ত হবে আরও চারটি দল—যারা নেশনস লিগে নিজেদের গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল কিন্তু বাছাইপর্বে শীর্ষ দুইয়ে থাকতে পারেনি।

নেশনস লিগের ১৪টি গ্রুপ চ্যাম্পিয়নের মধ্যে এখন পর্যন্ত শুধু মলদোভা ও সান মারিনোই এমন দুটি দেশ, যারা এখনও প্লে-অফের দৌড়ে রয়েছে কিন্তু বাছাইপর্বে নিজেদের গ্রুপে পিছিয়ে আছে। বাকি ম্যাচগুলোতে পরিস্থিতি বদলাতে পারে। সান মারিনোর প্লে-অফে যেতে হলে ওয়েলস, রোমানিয়া, সুইডেন এবং নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের মধ্যে অন্তত দুটি দলকে অবশ্যই নিজেদের গ্রুপে শীর্ষ দুইয়ে জায়গা করে নিতে হবে।

তবে শর্ত হলো—এই দলগুলো যেন অন্য কোনো নেশনস লিগ চ্যাম্পিয়নের অবস্থান দখল না করে। এমনটা হলে রোমানিয়াকে সান মারিনোর বিপক্ষে শেষ ম্যাচে বড় ব্যবধানে জিততে হবে। তার তিন দিন আগে বসনিয়ার মুখোমুখি হবে রোমানিয়া, যেখানে গোল ব্যবধান উন্নত করাও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে তাদের জন্য।

অন্যদিকে, সুইডেনের শীর্ষ দুইয়ে ওঠার সম্ভাবনা যদিও ক্ষীণ, তা এখনো পুরোপুরি শেষ হয়ে যায়নি। তাই ওয়েলস, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড ও রোমানিয়ার পারফরম্যান্সই শেষ পর্যন্ত নির্ধারণ করবে—ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ের একেবারে নিচে থাকা সান মারিনো কি না সত্যিই ২০২৬ বিশ্বকাপের প্লে-অফে জায়গা করে নিতে পারে।

Exit mobile version