আগের রাতে লিভারপুলকে শীর্ষস্থান থেকে সরিয়ে দিয়েছিল আর্সেনাল। রোববার তা পুনরুদ্ধারের সুযোগ ছিল তাদের সামনে, কিন্তু পারেনি। নিজেদের মাঠে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে দ্বিতীয় স্থানে থাকতে হচ্ছে লিভারপুলকে। গোল শূন্য ড্র হয়েছে ম্যাচটি।
১৭ ম্যাচ শেষে আর্সেনালের সংগ্রহ ৩৯ পয়েন্ট। লিভারপুলের পয়েন্ট ৩৮। সমান পয়েন্ট নিয়ে তাদের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে অ্যাস্টন ভিলা। ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে ম্যানচেস্টার সিটি। আর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পয়েন্ট ২৯।
এ ম্যাচের মাধ্যমে লিভারপুল প্রথমবারের মতো অ্যানফিল্ডে তাদের স্টেডিয়ামের কিছু অংশ উম্মুক্ত করেছে। ম্যাচটি দেখতে গ্যালারিতে উপস্থিত ছিল ৫৭ হাজার দর্শক। গত ৫০ বছরে অ্যানফিল্ডে এটাই দর্শকের সর্বোচ্চ উপস্থিতি।
এ ম্যাচে অপরাজিত থাকার মাধ্যমে চলতি বছর নিজেদের মাঠে অপরাজিত থাকার কীর্তিটা ধরে রাখলো লিভারপুল। তারপরও বিষয়টি স্বস্তিদায়ক হয়নি। কেননা চলতি বছর নিজেদের মাঠে সব ধরণের প্রতিযোগিতায় মিলে ১২টি ম্যাচ খেলেছে অল রেডরা। সবগুলো ম্যাচে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। তাছাড়া গত মৌসুমে ম্যানইউয়ের বিপক্ষে সেই স্মৃতি তো রয়েছেই। ৭-০ গোলে জয়ের স্মৃতি। কিন্তু এ ম্যাচে নিজেদেরকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেনি দ্য রেডসরা।
জয় না পাওয়ায় স্বাভাবিকভাবে হতাশা প্রকাশ করেছেন লিভারপুল অধিনায়ক ভার্জিল ফন ডাইক। বলেছেন, আমরা পুরো পয়েন্ট না পাওয়ায় হতাশ। আমরা ম্যাচে ভালো খেলেছি, বলের নিয়ন্ত্রণ রেখেছিলাম, বেশি সুযোগও তৈরি করেছি। মাঠে একটা মাত্র দল ছিল যারা জয়ের জন্য চেষ্টা করেছে। আমরা অবশ্যই সব ম্যাচ জিততে চাই। এ কারণেই ম্যাচের ফলটা আমাদের কাছে হতাশাজনক।’
লিভারপুল অধিনায়ক আরও বলেন, সব বিভাগেই আমরা প্রতিপক্ষের তুলনায় শ্রেয়তর ছিলাম। ম্যাচে আমাদের জয় পাওয়া উচিত ছিল। গত মৌসুমে আমাদের প্রত্যাশা বেশি ছিল না, কিন্তু আমরা বড় জয় পেয়েছিলাম। তবে গত বছরের কথা এখন বলে কোনো লাভ নেই।
লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ বলেন, গত বছর আমরা ৭-০ গোলে জিতেছিলাম। সে তুলনায় এবারের ম্যাচে আমাদের আধিপত্য বেশি ছিল। পরিসংখ্যান বলছে ম্যানইউ ছয়টি আক্রমণ করেছে। সে তুলনায় আমরা ৩৪টি আক্রমণ করেছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো ফল আসেনি।