ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল মৌসুমের দুর্দান্ত সূচনার পর আচমকাই ছন্দ হারিয়েছে। শেষ সাত ম্যাচের ছয়টিতে হেরে অলরেডসরা শিরোপার লড়াই থেকে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে লিভারপুল কোচ আর্নে স্লটকে বড় সিদ্ধান্তের পরামর্শ দিয়েছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কিংবদন্তি ওয়েইন রুনি। তার মতে, ফর্মহীন মোহাম্মদ সালাহকে এবার বেঞ্চে পাঠানো উচিত।
শনিবার অ্যানফিল্ডে নটিংহ্যাম ফরেস্টের কাছে হজম করতে হয়েছে তিন গোল। এই হারের পর ১২ ম্যাচে ছয় জয় এবং ছয় পরাজয় নিয়ে লিভারপুলের সংগ্রহ ১৮ পয়েন্ট। টেবিলে তাদের অবস্থান এখন একাদশ। শীর্ষে থাকা আর্সেনালের চেয়ে ব্যবধান ১১ পয়েন্ট। রুনি মনে করেন, আবার জয়ের ধারায় ফিরতে চাইলে স্লটকে কড়া সিদ্ধান্ত নিতেই হবে।
আন্তর্জাতিক বিরতির পরও লিভারপুলের দুরবস্থা কাটছে না। ১২ ম্যাচেই ছয় হার এবং এখন পর্যন্ত ২০ গোল হজম করেছে দলটি। ম্যাচ শেষে স্লট বলেছিলেন, সমাধান অনেক দূরে নয়। তবে এমন দুঃশুরুতে শিরোপা ধরে রাখার লড়াই নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠছে, তেমনই উঠছে কোচের ভবিষ্যৎ নিয়েও।
দ্য ওয়েন রুনি শোতে ৪০ বছর বয়সী রুনি বলেন, যদি তিনি স্লটের জায়গায় থাকতেন, তাহলে বড় একটি পরিবর্তন আনতেন। তিনি বলেন, সালাহ রক্ষণে সাহায্য করছে না। নতুন যারা এসেছে তারা দেখছে, সে দৌড়াচ্ছে না কিন্তু প্রতিটি ম্যাচেই খেলছে। এতে দলের কাছে ভুল বার্তা যায়। তিনি আরও বলেন, হ্যাঁ, আমার মতে তাকে বেঞ্চে বসানো উচিত। পুরো দলকে কমপ্যাক্ট করতে হলে সবাইকে পরিশ্রম করতে হবে। লিভারপুল আবার জিততে শুরু করলে সালাহকে ফিরিয়ে আনা যেতে পারে এবং তখন হয়তো সে আরও বেশি দায়িত্বশীল হবে।
রুনির মতের সঙ্গে একমত হয়েছেন সাবেক লিভারপুল ফুটবলার জেমি ক্যারাগার ও ডন হাচিসনও। তবে লিভারপুল কিংবদন্তি জন বার্নস ভিন্নমত পোষণ করে বলেছেন, সালাহই সমস্যা নয় এবং তার বয়স নিয়ে যে সমালোচনা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন।
এই মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে সালাহ করেছেন মাত্র চার গোল। স্লট তাকে বাদ দেবেন কিনা তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে সামনে যে পরীক্ষায় লিভারপুলকে পড়তে হবে তা কঠিন। ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া আফ্রিকা কাপ অব নেশনসে মিশরের হয়ে খেলতে গেলে দীর্ঘ সময় সালাহকে পাওয়া যাবে না। এই সময়ে টটেনহ্যাম, উলভস, লিডস, ফুলহ্যাম, আর্সেনাল, বার্নলি ও এফএ কাপের তৃতীয় রাউন্ডের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলো খেলতে হতে পারে তার অনুপস্থিতিতেই। টুর্নামেন্টটি শুরু হবে ২১ ডিসেম্বর এবং চলবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত।
