নিজেদের মাঠে অনুষ্ঠিত প্রথম লেগের খেলায় ল্যাজিও জয় পেয়েছিল। ফলে ২৪ বছরের মধ্যে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল তাদের। কিন্তু মঙ্গলবার বায়ার্ন মিউনিখের মাঠে শেষ ষোলোর ফিরতি লেগের খেলায় তারা দাঁড়াতেই পারলো না।
বায়ার্ন মিউনিখ তাদের ৩-০ গোলে হারিয়ে শেষ আটে পৌঁছে গেছে। হ্যারি কেন করেছেন জোড়া গোল। অন্য গোলটি করেছে থমাস মুলার। বায়ার্ন মিউনিখ এ নিয়ে গত ১৩ আসরে ১২বার শেষ আটে পৌঁছালো।
এ জয়ের ফলে বায়ার্ন মিউনিখের সমর্থকদের মনে আবার শিরোপা জয়ের স্বপ্নটা উজ্জ্বল হয়েছে। সমর্থকদের উজ্জ্বীবিত করার কাজটি হ্যারি কেন প্রথম করেন ৩৮তম মিনিটে। এ সময় গোল করে তিনি দুই দলকে সমান পর্যায়ে নিয়ে আসেন। বিরতির আগেই থমাস মুলার গোল করে দলকে এগিয়ে নেন। আর ৬৬ মিনিটে হ্যারি কেন আবার গোল করে সমর্থকদের মন থেকে সব শঙ্কা দূর করে দেন।
বায়ার্ন মিউনিখের জন্য এটা দারুণ মূল্যবান এক জয়। অথচ সাম্প্রতিক সময় জয় যেনো তাদের কাছে এক সোনার হরিণে রূপ নিয়েছে। সব ধরণের প্রতিযোগিতায় গত পাঁচ ম্যাচে একটা মাত্র জয় ছিল তাদের ভান্ডারে। নাজুক অবস্থায় থেকে এ ম্যাচটা শুরু করেছিল। ঘরোয়া লিগেও তাদের অবস্থা নাজুক। শীর্ষ থাকা দল থেকে ১০ পয়েন্ট পিছিয়ে তারা।
জয়ের নেশায় মরিয়া হয়ে থাকা বায়ার্নের সামনে শুরু থেকেই সফরকারী দল ল্যাজিও ব্যাকফুটে ছিল। ম্যাচে খুব একটা প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি তারা। এমনকি বায়ার্নের রক্ষণভাগের জন্য তেমন একটা ভয়ঙ্কর হয়ে দেখা দিতে পারেনি। তবে বিরতির আগে তাদের গোল না পাওয়াটা ছিল দুর্ভাগ্য। এ সময় সিরো ইমোবিলের একটা হেড বার ঘেঁষে চলে যায়।
ম্যাচে ল্যাজিওর সাফল্য বলতে ম্যাচের প্রথম আধাঘন্টা। এ সময় তারা বায়ার্ন মিউনিখকে তাদের বিপদ সীমানায় ঢুকতে দেয়নি। কিন্তু হ্যারি কেনের প্রথম গোলের পর তাদের আর করার কিছুই ছিল না। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নক আউট পর্বে গত পাঁচ বছরে এটা ছিল কেনের প্রথম গোল। এ ম্যাচে জোড়া গোল নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কেনের গোল সংখ্যা দাঁড়াল ২৭। ইংলিশ খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় এখন তিনি দ্বিতীয় স্থানে। ৩০ গোল নিয়ে প্রথম স্থানে ওয়েনি রুনি।