এটি মেসির ক্যারিয়ার শেষ ম্যাচ ছিল না। বরং এটি ছিল তার শৈশবের ক্লাবের বিপক্ষে একটা ম্যাচ। যা নিয়ে মেসি এবং নিউওয়েলস ওল্ড বয়েজের খেলোয়াড়দের মধ্যে অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করছিল। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে। মেসি গোল করতে পারেননি। তবে বেশকিছু ঝলক দেখিয়েছেন।
ক্যারিয়ারে শত শত ম্যাচ খেলেছেন লিওনেল মেসি। কিন্তু আজ ভোরে ফ্লোরিডার ডিআরভি পিএনকে স্টেডিয়ামে যে ম্যাচটি খেলতে নেমেছিলেন তা কিছুটা ব্যতিক্রম ছিল বৈকি! যদিও এটি ছিল একটি প্রীতি বা প্রস্তুতি ম্যাচ কিন্তু তাতে ছড়িয়ে ছিল অন্যরকম এক আবেগ। তাইতো নিউওয়েলস ওল্ড বয়েজের বিপক্ষে ম্যাচটি শেষ হওয়ার পর খেলোয়াড়রা মেসিকে ঘিরে ধরেন এবং তার সঙ্গে হ্যান্ডশেক করেন।
মিয়ামির হয়ে ৬৪ মিনিটে শ্যানিডার বগেলিন গোল করেন। এ ব্যবধানেই জয়ের সুবাতাস পাচ্ছিল মিয়ামি। কিন্তু ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার ৭ মিনিট আগে ফ্রাঙ্কো মার্টিন ডিয়াজ সমতাসূচক গোল করেন।
মেসি খেলবেন কি না তা নিয়ে একটা শঙ্কা ছিল। আগের কয়েকটি প্রস্তুতি ম্যাচে ইনজুরির কারণে মেসি অনেকটা অনিয়মিত ছিলেন। কোনো ম্যাচে খেলেছেন, কোনো ম্যাচে স্বল্প সময়ের জন্য নেমেছেন। তবে এ ম্যাচে মেসি শুরু থেকেই মাঠে ছিলেন। খেলেছেন এক ঘন্টা।
নাম্বার টেন যতোটা সময় মাঠে ছিলেন বেশ কয়েকবার গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন কিন্তু তা বাস্তবে রূপ দিতে পারেননি। প্রতিপক্ষের গোলের সামনে একটা ফ্রি কিকও নিয়েছিলেন। মানবদেয়াল ফাঁকি দিয়ে যে শট মেসি নিয়েছিলেন তা বার ঘেষে বাইরে চলে যায়। বল এতটাই বাঁক নিয়েছিল যে, গোলরক্ষক বলের দিকে যাওয়ার সময়ই পাননি, চেয়ে চেয়ে শুধু দেখেছেন।
মিয়ামি তাদের নতুন মৌসুমে আগামী বুধবার মাঠে নামবে। মেজর সকার লিগে এ ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ রিয়াল সল্ট লেক।