দারুণ লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়েও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ঘুরে দাঁড়াতে পারলো না সফরকারী পাকিস্তান। শনিবার সেঞ্চুরিয়নে অনুষ্ঠিত টানটান উত্তেজনার ম্যাচে পাকিস্তান ৭ উইকেটে হেরেছে। প্রথমে ব্যাট করে মোহাম্মদ রিজওয়ানের দল ৫ উইকেট হারিয়ে ২০৬ রান করেছিল। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা ৩ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয়।
ম্যাচে মোট রান হয়েছে ৪১৬। দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তানের মধ্যে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টিত সর্বোচ্চ রানের ম্যাচ এটি। এ ম্যাচে জয়ের ফলে সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকা এক ম্যাচ হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করেছে। তিন ম্যাচের সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকা ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে।
২০৭ রানে জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় খেলতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটা স্বস্তির ছিল না। ২৮ রানের মধ্যে তারা দুই উইকেট হারিয়েছিল। কিন্তু অপর প্রান্তে থাকা রেজা হেনড্রিকসের ব্যাটিংয়ের কাছে হার মানতে হয়েছে পাকিস্তানকে। অসাধারণ ব্যাটিং করেছেন এই ওপেনার। তার সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে যোগ দিয়েছিলেন রাশি ফন ডার ডুসেন। ১৫৭ রানের জুটি তাদের। উভয়ে বিধ্বংসী ব্যাটিং করেছেন। হেনড্রিকস ৬৩ বলে ১১৭ রান করেন। হেনড্রিকসের এটা ১৮তম পঞ্চাশোর্ধ স্কোর। এর মাধ্যমে তিনি সর্বাধিক হাফ সেঞ্চুরি করা ডি কককে পেছনে ফেলেছেন।
ডুসেন ৩৮ বলে করেন ৬৬ রান। টি-টোয়েন্টিতে তৃতীয় উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার এটা সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এর আগে তৃতীয় উইকেটে তাদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছিল ১৩৩। করেছিলেন ডি ভিলিয়ার্স ও রিচার্ড লেভি।
হেনড্রিকস ও ডুসেনের ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানের বোলারদের পাগল হওয়ার অবস্থা হয়েছিল। তারা উভয়েই একের পর এক বল বাতাসে ভাসিয়ে মাঠ ছাড়া করেছেন। হেনড্রিকসের ব্যাটিংয়ে ১০টি ছিল ওভার বাউন্ডারি। আর ডুসেন মেরেছেন পাঁচটি।
এর আগে সাইম আইয়ুবের ব্যাটিংয়ে পাকিস্তান পেয়েছিল স্বস্তিদায়ক সংগ্রহ। দুই রানের জন্য সেঞ্চুরির দেখা না পাওয়া আইয়ুব ৯৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। ৫৭ বলে খেলা ইনিংসটি সাজাতে এই ওপেনার ১১টি বাউন্ডারি ও পাঁচটি ওভার বাউন্ডারি মারেন। ওপেনিংয়ে রিজওয়ান ব্যর্থ হয়েছেন। ১১ রান করেন। ওয়ানডে ডাউনে এসে বাবর আজম কিছুটা সফল হয়েছেন, করেছেন ৩১ রান। শেষ দিকে ইরফান খানের ঝড়ে পাকিস্তান দুইশ রানের কোটা পার করে। ১৬ বলে তিনি করেন ৩০ রান।