দিয়াগো পাবলো সিমিওনে। আর্জেন্টিনার সাবেক অধিনায়ক। বর্তমানে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের ট্কেনিক্যাল ডিরেক্টর। দুই চার বছর নয়, এক যুগ অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের সঙ্গে আছেন। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন স্থানে আর্জেন্টিনার কোচ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। ইউরোপে তার সংখ্যাটা নেহায়েত কম নয়। ইউরোপে যে সব আর্জেন্টাইন কোচ রয়েছে তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছেন এই সিমিওনে।
মাঝে মাঝে মাঠে সিমিওনের কৌশল নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে কিন্তু দলকে অসাধারণ সব সাফল্য এনে দিয়েছেন। লা লিগায় যেখানে রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার একচ্ছত্র আধিপত্য সেখান থেকে সাফল্য বের করা খুবই কঠিন। কিন্তু হাল ছাড়েননি সিমিওনে। মাঝারি মানের দল এবং খ্যাতিহীন খেলোয়াড়দের নিয়ে ঠিকই কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁঁছেছেন।
বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদের দাপটের মাঝে থেকেও অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদকে দুইবার লিগ শিরোপা এনে দিয়েছেন। তবে দুর্ভাগ্য তার, দুইবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে পৌঁছেও শিরোপার নাগাল পাননি। লিগ শিরোপার পাশাপাশি জিতেছেন কোপা দেল রে ও স্প্যানিশ কাপ। এত সব সাফল্যের কারণে তিনি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। হয়েছেন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া কোচ।
চমৎকার কৌশলের কারণে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের প্রশংসার বাণীতে সিক্ত হয়েছেন সিমিওনে। ব্রাজিলের সাবেক খেলোয়াড় রবার্তো ফিরমিনো তার বায়োগ্রাফিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কথা লিখতে গিয়ে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের কথা তুলে এনেছেন।
ফিরমিনো তখন লিভারপুলের খেলোয়াড়। অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে লিভারপুলের খেলা প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম লেগে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ ১-০ গোলে জয় পেয়েছিল। ফিরতি লেগে তারা ৩-২ গোলে জয় পায়। তাদের এমন পারফরম্যান্সে আমরা বিষ্মিত হয়েছিলাম। কেননা সে সময়ে আমরা দুর্দান্ত খেলছিলাম। পাঁচ মাসের মধ্যে ওইটা ছিল আমাদের প্রথম হার। আর সেই হারটা ছিল মৌসুমের মাত্র দ্বিতীয়।
অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের সঙ্গে সিমওিনের চুক্তির মেয়াদ বেড়ে ২০২৭ সাল পর্যন্ত করা হয়েছে। যার অর্থ ১৬ বছর একই ক্লাবের দায়িত্বে থাকতে যাচ্ছেন সিমিওনে। ফলে সাবেক দুই কিংবদন্তী আর্সেন ওয়েঙ্গার ও অ্যালেক্স ফার্গুসনের সঙ্গে তার তুলনা করা হচ্ছে। অ্যালেক্স ফার্গুসন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ২৭ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৮৬ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত। আর আর্সেন ওয়েঙ্গার আর্সেনালে ছিলেন ২২ বছর। ১৯৯৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত।