স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে উঠেছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও বসুন্ধরা কিংস।
শুক্রবার গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রথম সেমিফাইনালে মোহামেডান ১-০ গোলে হারায় রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটিকে।
অন্যদিকে কিংস অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বসুন্ধরা কিংস ঢাকা আবাহনীকে বিধ্বস্ত করে ফাইনালে উঠেছে। বসুন্ধরা কিংস ৪-০ গোলে জয় পায়।
আগামী ১৮ ডিসেম্বর শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে মোহামেডান ও বসুন্ধরা কিংস।
শক্তি-সামর্থ্যে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি থেকে অনেকটা এগিয়ে মোহামেডান স্পোর্টিং। স্বাধীনতা কাপ ফুটবলের প্রথম সেমিফাইনালে ফেবারিট ছিল তারাই। কিন্তু রহমতগঞ্জ ছেড়ে কথা বলেনি, মোহামেডানের শক্তি-সামর্থ্যকে জানিয়ে যাচ্ছিল শক্ত চ্যালেঞ্জই।
মোহামেডানের প্রাণভোমরা মালির স্ট্রাইকার সুলেমান দিয়াবাতে ছিলেন খানিকটা নিষ্প্রভ। তার পরও সাদা-কালো শিবির রহমতগঞ্জকে শেষ পর্যন্ত হারিয়ে দিয়েছে ১-০ গোলে।
গত মে মাসে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ঢাকা আবাহনী লিমিটেডকে হারিয়ে ১৪ বছর পর ফেডারেশন কাপের শিরোপা জিতেছিল মোহামেডান। সাদা-কালো শিবিরের সামনে এখন আরও একটি শিরোপা জেতার হাতছানি।
এদিকে কিংস অ্যারেনায় স্বাগতিক বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে দারুণ প্রতিরোধ গড়েছিল আবাহনী। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে প্রথমার্ধের আবাহনীকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফলে বসুন্ধরা একের পর এক গোল করেছে।
৪৮ মিনিটে কিংসের গোলযাত্রা শুরু। ব্রাজিলিয়ান মিগেলের সঙ্গে ওয়ান টু খেলে বক্সে ঢুকে বা পায়ের দারুণ এক শটে মোহাম্মদ সোহেল রানা গোলকিপারকে পরাস্ত করেন। কিংস বলটি পেয়েছিল আবাহনীর ফুটবলারের কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে।
৫৩ মিনিটে ইরানি ফুটবলার মিলাদ শেখের ভুল পাসে রাকিব কয়েকজন কাটিয়ে ব্রাজিলিয়ান ডরিয়েল্টনকে দেন। প্লেসিংয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ব্রাজিলিয়ান।
৭৭ মিনিটে কিংস তিন গোলে এগিয়ে যায়। সাদ উদ্দিনের ক্রসে মিগেল ফাঁকায় দারুণ হেডে গোলকিপারকে পরাস্ত করেন।
ম্যাচ শেষ হওয়ার দুই মিনিট আগে পেনাল্টি পায় কিংস। আবাহনীর ফুটবলাররা পেনাল্টি বাতিলের জন্য আবেদন করছিল অনেকক্ষণ। যদিও রেফারি আলমগীর নিজ সিদ্ধান্তে ছিলেন অনড়।
৮৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে রবিনহো সহজেই দলকে ৪-০ গোলে জয় নিশ্চিত করেন। বসুন্ধরা কিংসের কাছে ঢাকা আবাহনীর এটাই সবচেয়ে বাজে হার।