হাইতির স্বপ্নে ট্রাম্পের ছায়া

হাইতি

হাইতি ফুটবল দল

পঞ্চাশ বছর আগের স্মৃতি আবার আলোচনায়। বিশ্বকাপে ফেরার আনন্দে ডুবে থাকার কথা হাইতির, কিন্তু মাঠের উত্তেজনার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরেক রকম অপেক্ষা। দলকে সমর্থন জানাতে ভক্তরা যুক্তরাষ্ট্রে আসতে পারবেন কি না, সেটিই এখন হয়ে উঠেছে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।

১৯৭৪ সালের পর প্রথমবার বিশ্বকাপে খেলতে যাচ্ছে ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের দেশ হাইতি। ব্রাজিল, স্কটল্যান্ড ও মরক্কোকে গ্রুপ পর্বে পেয়েছে তারা। কিন্তু এই ঐতিহাসিক মুহূর্তেও দলে ঢুকে পড়েছে দুশ্চিন্তা। দলের প্রধান কোচ সেবাস্তিয়েন মিগনে স্পষ্ট জানালেন, বিশ্বকাপে হাইতির সমর্থকরা স্টেডিয়ামে থাকতে পারবেন কি না, তার সিদ্ধান্ত আসলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাতে।

কারণ আমেরিকান সরকার বর্তমানে হাইতির অভিবাসী ও অ-অভিবাসী দুজনের জন্যই দেশটিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে। জাতীয় নিরাপত্তার যুক্তি দেখিয়ে গত জুনে ট্রাম্প যে ১২টি দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন, হাইতি তারই একটি।

ড্রয়ের পর দ্য অ্যাথলেটিককে মিগনে বলেন, বিশ্বকাপের আগে রাজনৈতিক অবস্থার বদল হবে কি না, সেটিই এখন মূল বিষয়। তার ভাষায়, এটা পুরোপুরি ট্রাম্পের ওপর নির্ভর করছে। সম্প্রতি ফিফা শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। হাইতির কোচের ধারণা, এই স্বীকৃতি হয়তো তার সিদ্ধান্তে নরম ভাব আনতে পারে। তিনি আশা করে বলেন, হয়তো আবেগ কাজ করবে এবং তিনি হাইতির ভক্তদের যুক্তরাষ্ট্রে আসার সুযোগ করে দেবেন।

মিগনের মনে আরও একটি রোমাঞ্চ কাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে প্রচুর হাইতিয়ান বাস করেন। তিনি বলেন, যদি পূর্বাঞ্চলে ম্যাচ পাওয়া যায়, তা দারুণ হবে। বিশেষ করে ব্রাজিলের বিপক্ষে যদি হাইতি নিজেদের সেরা খেলাটা দেখাতে পারে, তাহলে সেটা যুক্তরাষ্ট্রে থাকা হাইতিয়ানদের জন্য হবে অদ্ভুত এক আনন্দের মুহূর্ত। বিশ্বকাপের মঞ্চ, বড় প্রতিপক্ষ এবং দর্শকদের সামনে নিজেদের উপস্থিতির প্রকাশ এর চেয়ে বেশি দৃষ্টি কাড়া কিছু নেই।

Exit mobile version