আবারও আলোচনায় মেসি। টানা দ্বিতীয়বার তার হাতে উঠতে পারে ফিফা দ্য বেস্ট পুরস্কার। যা ঘোষণা করা হবে ১৫ জানুয়ারি লন্ডনের একটি অডেটোরিয়ামে।
ভেন্যুর নাম চূড়ান্ত করেনি ফিফা। তবে জানিয়ে দিয়েছে মেসি, হালান্ড কিংবা এমবাপ্পে এই তিনজনের কোন একজনের হাতে উঠবে ফিফার এই পুরস্কার। মোট ১১টি ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার দেয়া হলেও মূল আলোচনা হয় হয় বর্ষসেরা পুরুষ খেলোয়াড়কে নিয়েই।
২০২২ সালের পুরস্কারটি উঠেছিলো আর্জেন্টাইন সুপার স্টার মেসির হাতেই। ফুটবল এই গ্রেট পেয়েছিলেন ৫২ পয়েন্ট । প্রতিদ্বন্দ্বি দুই ফরাসি এমবাপ্পে ও করিম বেনজেমা পেয়েছিলেন যথাক্রমে ৪৪ ও ৩৪ পয়েন্ট করে। এবারও কি মেসির হাতেই উঠবে এই পুরস্কার? এটি ফুটবল বিশ্বে কোটি ডলারের প্রশ্ন।
গত ৩১ অক্টোবর হালান্ড ও এমবাপ্পে কে হারিয়েই ফ্রান্সের স্পোর্টস ম্যাগাজিন ফ্রান্স ফুটবলের দেয়া ব্যালন ডি অর জিতেছিলেন মেসি। ফলে মেসি ভক্তরা আরও একবার স্বপ্ন দেখতে পারেন তাদের ছোট্ট জাদুকরকে ঘিরে।
অবশ্য, অষ্টম বারের মতো মেসির হাতে ওঠা ব্যালন ডি অর নিয়ে প্রচুর সমালোচনা হয়েছে। অনেকেই বলেছেন ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে ট্রেবল জেতা নরওয়েজিয়ার স্ট্রাইকার আর্লিং হালান্ডই ছিলেন ব্যালন ডি অরের সবচেয়ে বড় দাবীদার। তবে সব আলোচনায় জল ঢেলে দেন এমবাপ্পে। ফরাসি এই সুপার স্টার বলেন, কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালের রাতেই তার দৃঢ় বিশ্বাস জন্মেছিলো, মেসির হাতেই উঠবে ব্যালন ডি অরের পুরস্কার।
এমবাপ্পের এই বক্তব্যের পর মেসি ভক্তরাও নিশ্চয়ই অবাক হয়েছিলেন। আসলেই গ্রেটরা এমনই হন। এমবাপ্পে তো একজন গ্রেট। সে কথা নিশ্চয়ই আপনিও শিকার করতে বাধ্য হবেন।
গত সেপ্টেম্বর মাসে সেরাদের বেছে নেয়ার জন্য ফিফা আটটি করে নাম প্রকাশ করে সেখান থেকে তিনজনকে বেছে নিতে চারটি গ্রুপে ভোট দিয়েছেন ফিফা সদস্য তালিকায় থাকা জাতীয় দলের কোচ, অধিনায়ক, সাংবাদিক ও ফুটবল সমর্থকরা।
ফিফা দ্য বেস্টের এটি হতে যাচ্ছে অষ্টম পুরস্কার। নানা সময়ে নাম পাল্টে ২০১৬ সাল থেকে এই পুরস্কারের নাম করা হয় ফিফা দ্য বেস্ট। ২০১৬ ও ২০১৭ সালে টানা দুটি পুরস্কার উঠেছিলো ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর হাতে। আর মেসিকে থাকতে হয়েছিলো তালিকার দুই নাম্বারে।
২০১৯ সালে নাম্বার ওয়ান জায়গাটি দখলে নেয়া মেসি ২০২২ সালে তো বিশ্বকাপ জিতে আবারও তা পুনরুদ্ধার করেন। আর ২০২০ ও ২১ সালে যথাক্রমে ছিলেন তালিকার তিন ও দুইয়ে। ২০২২ এর বিশ্বকাপ জেতা মেসি সব হাহাকার দূরে ঠেলে ইউরোপ ছেড়েছেন গত জুলাইয়ে। ফরাসি ক্লাব পিএসজি ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে।
বিশ্বকাপ জিতেই মেসি জানিয়েছিলেন ফুটবলে এখন তার আর কিছুই চাওয়ার নেই। যে কয়দিন পারেন ফুটবলটাকে উপভোগ করতে চান। কিন্তু ফুটবল বিস্ময় মেসি এখনও পায়ের জাদুতে ভক্তদের বুদ করে রাখেন। খেলবেন আগামী বছর অনুষ্ঠেয় কোপা আমেরিকা ফুটবলেও। ফলে তার হাতে আরও একটা বিশ্বসেরার পুরস্কার দেখতে ভক্তরাও নিশ্চয়ই মুখিয়ে আছেন।