দুর্ভাগ্য ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড়ের। খেলার শুরুতে দুই গোল এবং ৮২ মিনিট পর্যন্ত এক গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থেকেও জয়ের দেখা পায়নি ইংলিশ ক্লাবটি। বরং চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ‘এ’ গ্রুপে থাকা দলটি অ্যাওয়ে ম্যাচে এফসি কোপেনহেগেনের কাছে ৩-৪ গোলে হেরেছে।
এই হারের ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পরবর্তী রাউন্ড অর্থাৎ নক আউটে খেলার পথটা কঠিন হয়ে গেলো। চার ম্যাচে সংগ্রহ তাদের মাত্র ৩ পয়েন্ট। অবস্থান টেবিলের তলানীতে। আর এই জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে কোপেনহেগেন। শীর্ষে থাকা বায়ার্ন মিউনিখ শতভাগে জয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে। চার ম্যাচ থেকে তাদের পয়েন্ট ১২। গালাতাসারে রয়েছে তৃতীয় স্থানে। তাদের পয়েন্ট ৪। গত রাতে বায়ার্নের কাছে তারা ১-২ গোলে হেরেছে।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জন্য এই হার এক আঘাত। এগিয়ে থাকার পর হারের হতাশা তো রয়েছেই। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে লাল কার্ড। ৪২ মিনিটে লাল কার্ড দেখে বহিষ্কৃত হন মার্কাস রাশফোর্ড।
অথচ কি দারুণভাবে ম্যাচটা শুরু করেছিল ম্যানইউ। ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই রাসমুস হয়লুন দলকে এগিয়ে নিয়েছিলেন। ২৮ মিনিটে সাবেক ক্লাবটির বিপক্ষে আবারও গোল করে তিনি ম্যানইউ সমর্থকদের আনন্দে ভাসিয়ে দেন । কিন্তু ৪২ মিনিটে রাশফোর্ডের সরাসরি লালকার্ড বিপাকে ফেলে ম্যান ইউকে। মারাত্মক ফাউলের কারণেও রেফারির সামনেও এর কোন বিকল্প ছিলো না।
রাশফোর্ডের এই লাল কার্ডে স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়ে স্বাগতিক দল। তার ফল ঘরে তুলতে মোটেও সময় নেয়নি তারা। প্রথমার্ধেই ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে আনে তারা। সবচেয়ে বড় বিষয় প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ের নবম মিনিটে কোপেনহেগেন পেনাল্টি থেকে তাদের সমতাসূচক গোলটি করে।
দুই গোলে এগিয়ে থাকার পর সমতা ফিরলেও হাল ছাড়েন ম্যানইউ। ৬৯ মিনিটে পেনাল্টির সুবাদে ম্যানইউ ৩-২ গোলে এগিয়ে যায়। কিন্তু স্বাগতিক দলের শেষ ঝড়ের ঝাপটাটা সাবেক চ্যাম্পিয়নরা সামাল দিতে পারেনি। মাত্র চার মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল করে তারা জয় ছিনিয়ে নেয় স্বাগিতকরা। ৮৩ মিনিটে লুকাস লেরাগার এবং ৮৭ মিনিটে রুনি বারদিঘি মূল্যবান গোল দুটো করেন।