টুর্নামেন্টে শুরুর আগে আর্জেন্টিনাকে চমকে দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলো কানাডা। সেই অনুযায়ী বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করেছিলো। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধের জোড়া গোলে ম্যাচে ২-০ তে জয় পেয়েছে লিওনেল মেসির দল।
এই কোপা টুর্নামেন্টই ২০২১ সাল থেকে বিশ্বকে অন্য এক আর্জেন্টিনা উপহার দিয়েছে। যারা একের পর এক মেজর টুর্নামেন্টের ফাইনালে গিয়ে শুধু হার দেখছিলো। তারাই কিনা ২০২১ সালে বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতে রাজত্ব করেছে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপেও। জিতে নিয়েছে নিজেদের তৃতীয় বিশ্বকাপ শিরোপা।
বাংলাদেশ সময় আজ ভোর ছয়টায় আটালান্টার মার্সিডিস বেঞ্জ স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে গোলশূন্য আর্জেন্টিনা দ্বিতীয়রার্ধের শুরুতেই গোল পায়। ৪৯তম মিনিটে স্কোরশিটে নাম তোলেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দল ম্যানচেস্টার সিটিতে খেলা ২৪ বছর বয়সি ফরোয়ার্ড হুলিয়ান আলভারেজ। ম্যাচের ৮৮ মিনিটে গোল পান লাউতারো মার্টিনেজ। ইতালিয়ান সেরি-আ লিগে ইন্টার মিলানের জার্সিতে খেলা হুলিয়ান আলভারেজ এই গোলের মাধ্যমে আবারও বুঝিয়ে দিলেন এই মুহুর্তে কেন তাকে বিশ্বের সেরা স্ট্রাইকারদের একজন বিবেচনা করা হয়।
এই ম্যাচে মেসি গোল মিস করলেও করিয়েছেন। আবার মাঠে নেমেই কোপায় সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়লেন। চিলির গোলরক্ষক সার্জিও লিভিংস্টোন কোপায় সর্বোচ্চ ৩৪ ম্যাচ খেলে ৭০ বছর ধরে একটি রেকর্ড ধরে রেখেছিলেন। গত বছরের ফাইনাল খেলে মেসি সেই রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছিলেন। কানাডার বিপক্ষে আজ খেলতে নেমে এককভাবে সর্বাধিক ৩৫ ম্যাচ খেলার রেকর্ড হয়ে গেলো এলএম টেনের।
চিলির গোলরক্ষক সার্জিও লিভিংস্টোন ১৯৩৪ সালে সর্বাধিক ৩৪ ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়েছিলেন। মেসি সেই রেকর্ড ভাঙলেন ২০২৪ সালে এসে। ২০০৭ সালে মেসির কোপা যাত্রা শুরু হয়। ওই আসরের ফাইনালে ব্রাজিলের সাথে হেরেছিলো মেসির আর্জেন্টিনা। ওই আসরে ৬ ম্যাচ খেলে দুই গোল করেছিলেন সেই সময়ের ক্ষুদে জাদুকর মেসি।
চিলির গোলরক্ষক লিভিংস্টোন ১৯৪১ সালে কোপায় খেলা শুরু করেন। ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত মোট ছয়টি আসরে অংশ নিয়ে খেলেন ৩৪টি ম্যাচ।
কোপা আমেরিকায় ৩৩ ম্যাচ খেলে তালিকার তৃতীয়স্থানে আছেন ব্রাজিলের জিজিনহো। কোপা আমেরিকায় ৩৩ ম্যাচে ১৭ গোল করা জিজিনহো খেলেন ১৯৪২ সালে থেকে ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩
















