ম্যানচেস্টার সিটির দুঃসময়টা শেষ হচ্ছে না। ঘরোয়া লিগে যেমন অবস্থা চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও তাই। চেলসি যে রাতে বার্সেলোনাকে নাচিয়ে ছেড়েছে সে রাতে ম্যানসিটি হারের লজ্জায় ডুবেছে। নিজেদের মাঠে বেয়ার লেভারকুজেনের কাছে ২-০ গোলে হেরেছে। উভয়ার্ধে একটি করে গোল হজম করে ইংলিশ ক্লাবটি।
ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এ ম্যাচের আগে ম্যানসিটি কোচ পেপ গার্দিওলার মানসিক সমস্যা নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন আসতেই পারে। দলের নামী খেলোয়াড়দের কি কারণে সাইড বেঞ্চে রেখেছিলেন তা তিনিই বলতে পারবেন। দলের গোল মেশিন হালান্ড, গিয়ানলুিইগি ডোনারুমাকে বাইরে রেখেছিলেন। আর সে ফাঁকেই উভয়ার্ধে একটি করে গোল আদায় করে নেয় লেভারকুজেন। আলেহান্দ্রো গ্রিমালদো ২৩ মিনিটে এবং ৫৪ মিনিটে প্যাটট্রিক শিক গোল করেন।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যানসিটির হয়ে পেপ গার্দিওলার এটা ছিল শততম ম্যাচ। কিন্তু এমন তিক্ত অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে তা হয়তো কল্পনাও করেননি। ঘরোয়া লিগে শনিবার নিউক্যাসেলের কাছে হেরেছিল তার দল। সে দলে দুই, চার বা পাঁচ নয়, দশ পরিবর্তন নিয়ে দল সাজিয়েছিলেন। নতুন খেলোয়াড়রা তার সিদ্ধান্তের সম্মান জানাতে পারেনি।
এই হারের ফলে নাজুক অবস্থায় ম্যানসিটি। সেরা আট থেকে ছিটকে যাওয়ার শঙ্কা তাদের সামনে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথম হার, পাঁচ ম্যাচ থেকে পয়েন্ট তাদের ১০। সামনে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ম্যাচের আগে এমন হার ম্যানসিটির সমর্থকদের দুঃশ্চিন্তা বাড়িয়ে দেবে।
আর্লিং হালান্ডকে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামান পেপ গার্দিওলা। কিন্তু ততক্ষণে যা সর্বনাশ হওয়ার তা হয়েই গেছে। হালান্ড মাঠে আসার আগে ফিল ফোডেন, নিকো ও রেইলি এবং জেরেমি ডোকু মাঠে আসেন। তারাও ম্যানসিটির ভাগ্য পরিবর্তনে কোনো ভূমিকা রাখতে পারেননি।
লেভারকুজেনের জন্য এটা বিশাল এক জয়। আগের ম্যাচে যদিও তারা বেনফিকাকে হারিয়েছিল কিন্তু তাদের শুরুটা ছিল হতাশাজনক। প্রথম দুই ম্যাচে তারা ড্র করেছিল। আর তৃতীয় ম্যাচ তো তাদের জন্য লজ্জার এক উদাহরণ হয়ে আছে। প্যারিস সেন্ত জার্মেইয়ের কাছে নিজেদের মাঠে গোল বন্যায় ভেসেছিল তারা। ৭-২ গোলে হেরেছিল। সেই দলটিই এবার ম্যানসিটিকে হতবাক করে ছেড়েছে।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩

















