এমন ফিরে আসা কিছুটা অকল্পনীয়ও বটে। যেমনটা ফিরে এসেছেন কার্লোস আলকারাজ। ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনালে ইয়ানিক সিনারের কাছে প্রথম দুই সেট হেরে গিয়েছিলেন। আর এক সেট জিতলেই ফ্রেঞ্চ ওপেন জিতে যাবেন। কিন্তু শেষটা হয়েছেন ভিন্নভাবে। পরের তিন সেটের একটাতে জিততে পারেনি সিনার। বরং টানা তিন সেট জিতে ফ্রেঞ্চ ওপেন জিতেছেন আলকারাজ। ৪-৬, ৬-৭(৪-৭), ৬-৪, ৭-৬(৭-৩) ও ৭-৬ গেমে ম্যাচ জিতেছেন স্প্যানিশ তারকা আলকারাজ।
এ নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার ফরাসি ওপেনের শিরোপা জিতলেন আলকারাজ। সব মিলিয়ে ২২ বছর বয়সে আলকারাজের ঝুলিতে জমা হয়ে গেল পাঁচটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম। অন্যদিকে ইয়ানিক সিনার এই প্রথম কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যাম টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠলেন।
শুধু প্রথম দুই সেটে হেরে ঘুরে দাঁড়ানো নয়, আলকারাজ আরও একটি অবিশ্বাস্য কাজ করলেন। চতুর্থ সেট তিনি প্রায় হেরে যাচ্ছিলেন। পিছিয়ে পড়েন ৫-৩ গেমে। ষষ্ঠ গেমে ৪০-০তে পিছিয়ে পড়েছিলেন। আর একটি গেম পয়েন্ট পেলেই চ্যাম্পিয়ন সিনার। এ পরিস্থিতিতে অবিশ্বাস্য ঘুরে দাঁড়ারেন আলকারাজ।
শুরু হলো আলকারাজের টাইব্রেকার জয়। নিশ্চিত হেরে যাওয়অ সেটে ঘুরে দাঁড়িয়ে টাইব্রেকারে গিয়ে ৭-৬(৭-৩) গেমে ম্যাচ জিতে নেন। পরের সেটও জিতলেন টাইব্রেকারে গিয়ে। গ্র্যান্ড স্ল্যামের ইতিহাসে এভাবে পিছিয়ে পড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর নজির নেই। শিরোপা নিষ্পত্তিতে দুই তারকা লড়েছন ৫ ঘন্টা ২৯ মিনিট। ম্যাচের এই দৈর্ঘ্য ফরাসি ওপেনের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ ম্যাচ।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩

















