২৯ আগস্ট থেকে ভারতে শুরু হতে যাচ্ছে এশিয়া কাপ হকি। তবে এবারের আসর ঘিরে অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। রাজনৈতিক কারণে পাকিস্তান ভারতের মাটিতে খেলতে চাইছে না। যদি তারা সরে দাঁড়ায়, তবে এএইচএফ কাপে তৃতীয় হওয়া বাংলাদেশ পেতে পারে এশিয়া কাপে খেলার সুযোগ। যদিও এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।
বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক লে. কর্নেল রিয়াজুল হাসান বলেন, “আমরা ভারত, পাকিস্তান, এএইচএফ সবার সঙ্গেই আলোচনা করেছি। পাকিস্তান ফেডারেশনও আনুষ্ঠানিকভাবে বলতে পারছে না এশিয়া কাপ খেলবে না। আবার এএইচএফ কিংবা ভারতও বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানাচ্ছে না। বিষয়টি এখন এফআইএইচ দেখছে। আমরা তাদের বলেছি ৪৮ ঘন্টার মধ্যে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানাতে, না হলে আমাদের পক্ষেও খেলা সম্ভব হবে না কারণ ভিসা প্রসেস সময়সাপেক্ষ।”
এশিয়ান হকি ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান এফআইএইচ সভাপতি তৈয়ব ইকরাম জানিয়েছেন, সোমবারের মধ্যেই বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। ফলে আজ পর্যন্ত অপেক্ষা করছে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন।
তবে অনিশ্চয়তার মাঝেও বসে নেই বাংলাদেশ দল। মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে ইতোমধ্যে ক্যাম্প শুরু হয়েছে। কোচ মশিউর রহমান বিপ্লবের অধীনে সিনিয়র দলের ১৮ জন খেলোয়াড়ের সঙ্গে আছেন অনূর্ধ্ব-২১ বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে আসা ১০ জন তরুণ খেলোয়াড়।
রিয়াজুল হাসান আরও বলেন, “এ ছাড়া কোনো বিকল্প ছিল না। কারণ একেবারে শেষ মুহূর্তে যদি আমন্ত্রণ পাই, তবে প্রস্তুতির সময় পাওয়া যাবে না। তাই আমরা ঝুঁকি নিয়েই ক্যাম্প শুরু করেছি। যদি শেষ পর্যন্ত না খেলতে পারি, কিছুটা অর্থ ব্যয় হবে, সেটি ভেবেই এগিয়েছি।”
উল্লেখ্য, ১৯৮২ সাল থেকে শুরু হওয়া প্রতিটি এশিয়া কাপে বাংলাদেশ খেলেছে। তবে এবার এএইচএফ কাপে তৃতীয় হয়ে সরাসরি যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। পাকিস্তানের অনিশ্চয়তা এবার আবারও বাংলাদেশকে সুযোগের দোরগোড়ায় দাঁড় করিয়েছে।
