মোরসালিন আহমেদ:
বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের ভেতরে ও বাইরে ঘাপটি মেরে বসে থাকা একটি স্বার্থান্বেষী মহল ঘরোয়া হকিকে আবারও অশান্ত করে তোলার পাঁয়তারা করছে। নবনির্বাচিত কমিটির বেশ কিছু সময়পোযোগী কর্মকান্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে তারা নানারকম অপপ্রচার শুরু করেছে। শুধু তাই নয়, ওই স্বার্থান্বেষী মহলের কারণে পদে পদেই ফেডারেশনের কার্যক্রম এখন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।
খাদের কিনারা থেকে হকির ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে সাংগঠনিকভাবে যখন আব্দুর রশিদ সিকদার, এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ, জাকি আহমেদ রিপন, মাহবুবুল এহসান রানা, আরিফুল হক প্রিন্স, তারিকুজ্জামান নান্নু প্রমুখরা প্রাণপণ চেষ্টা করছেন, তখন ওই স্বার্থান্বেষী মহল কিছু মিডিয়ার মাধ্যমে নানারকম বিভ্রান্তি ও ধূম্রজাল সৃষ্টি করছে। যা হকিকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
ফেডারেশনের নবনির্বাচিত কমিটির এখনো দু’ মাস পেরোয়নি, অথচ এরই মধ্যে স্বার্থান্বেষী মহলটি নানারকম ষড়যন্ত্রের জাল বিছানো শুরু করেছে। বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে হকির স্পন্সর প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিমুখ করছে। ছুটিতে যাওয়া জাতীয় দলের কোরীয় কোচ ইয়াং কু কিমকে বাংলাদেশে না ফেরতে অনুসাহিত করছে। জাতীয় দলের ক্যাম্পে অসন্তোষ সৃটির তৎপরতা চালাচ্ছে। এমন হাজারো অপচেষ্টার কারণে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের জন্ম নিচ্ছে। যা আসন্ন এশিয়ান গেমসে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
বর্তমান ঘরোয়া হকি প্রসঙ্গে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও এশিয়ান হকি ফেডারেশনের অন্যতম সহসভাপতি এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ হকিবাংলাদেশ.কম-কে বলেন, গত চার বছর মেয়াদকালে আমি হকি উন্নয়নে কি করেছে তা সবাই দেখেছেন। আন্তর্জাতিক অনেক সাফল্য এসেছে, নারী হকির প্রচলন করেছি, ঢাকায় ফ্রাঞ্চাইজি লিগ হয়েছে, এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করেছি। সর্বোপরি খেলোয়াড়দের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছি।
ক্রীড়া অন্তপ্রাণ বরেণ্য সংগঠক এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ এক প্রশ্নে বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল হকি উন্নয়নে বরাবরই বাধাগ্রস্থ করছে। অত্যন্ত আত্মপ্রত্যয়ী কন্ঠে তিনি বলেন, যতই বাধা আসুক, যতই ষড়ষন্ত্র হোক- হকির উন্নয়নের অদম্য গতি কেউ থামাতে পারবে না। ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে সবাইকে নিয়ে হকিকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। তিনি আরও বলেন, এখনও এদেশে একাত্তরের ‘শকুনি’ এবং পঁচাত্তরের হায়নাদের বংশধরেরা সক্রিয় আছে। সুযোগ পেলেই তারা দন্ত-নখর বসিয়ে হকিকে ক্ষতবিক্ষত করে ফেলে। হকি অঙ্গন ভাল থাকুক এটা দেখলে তাদের গায়ে জ্বালা ধরে। কিন্তু এদের এখন সবাই চিনে ফেলেছে। ষড়যন্ত্র করে আর হকিকে বিভ্রান্ত করা যাবে না।
সবশেষ প্রশ্নে এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ বলেন,আপনি যদি স্বপ্ন দেখেন তাহলে সেই স্বপ্নের কাছাকাছি পৌঁছুতে পারবেন। আর আপনি যদি স্বপ্ন না দেখেন তাহলে স্বপ্ন নিয়ে হাঁটতে পারবেন না। আমার স্বপ্ন কিন্তু ৩০ লাখ শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত লাল-সবুজের পতাকা আমার এই প্রাণের বাংলাদেশ। আমার এই পতাকাকে আমি বিশ্ব হকির দরবারে মেলে ধরতে চাই। সেই লক্ষ্য সামনে রেখে আমরা সবাই চেষ্টা করছি।