নেপালে ফ্রাঞ্চাইজি কাবাডি লিগে অংশ নেয়া বাংলাদেশের ছয় জন খেলোয়াড় তাদের প্রাপ্ত অর্থ আজ বুঝে পেয়েছেন। প্রত্যেকে পেয়েছেন ১ হাজার ডলারের সমপরিমাণ টাকা। নেপাল থেকে প্রাপ্ত অর্থ বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন খেলোয়াড়দের বুঝিয়ে দিয়েছে।
নেপাল কাবাডি লিগ খেলে আসা বাংলাদেশের ছয় খেলোয়াড় হচ্ছেন মনিরুল চৌধুরী, ইয়াসিন আরাফাত, মিজানুর রহমান, শাহ মোহাম্মদ শাহান, সবুজ মিয়া ও রোমান হোসেন।
গত জানুয়ারিতে ৬ দলের অংশগ্রহণে নেপালে অনুষ্ঠিত হয় ফ্রাঞ্চাইজি কাবাডি লিগ। দেরিতে টাকা পাওয়া প্রসঙ্গে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এসএম নেওয়াজ সোহাগ জানান, ‘ফ্রাঞ্চাইজির একটা প্রসেস থাকে। প্রসেসের মাধ্যমে টাকাটা আসতে হয়। টাকাটা ওনারা পাঠিয়েছেন। সেই টাকা আমাদের খেলোয়াড়রা পেয়েছে। এটা এমন না যে খেলা শেষ করার সাথে সাথেই টাকা দিয়ে দিবে। ভারতের প্রো কাবাডি এরপর ফ্রাঞ্চাইজি মডেলের কোন টুর্নামেন্ট ক্রিকেট, ফুটবল, হকি যাই দেখেন না কেন সেখানে কিন্তু টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে খেলোয়াড়দের সাথে একটা মেয়াদকাল থাকে। সে ক্ষেত্রে আমাদের ছেলেরা টাকাটা পেয়েছে।’
ফ্রাঞ্চাইজি কাবাডি লিগে অংশ নেয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছে বলে মনে করেন কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এসএম নেওয়াজ সোহাগ। ‘আমি এখানে টাকাটাকে বড় করে দেখছি না। আমাদের যে সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছে সেটা আমি এখানে বলতে চাই। আমাদের এখান থেকে বিভিন্ন ফ্রাঞ্চাইজি লিগে বা প্রো কাবাডিতে প্লেয়ার পাঠাতে গেলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতো। সেটা ছিল সার্ভিস টিমের ডিপার্টমেন্টাল ইস্যু বা ওখান থেকে যেতে পারতো না। আমাদের বর্তমান কমিটি দায়িত্ব নেয়ার পর তাদের সাথে কথা বলে তাদেরকে আমরা বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। বিভিন্ন সার্ভিস টিমের প্লেয়াররা কিন্তু নেপালে ফ্রাঞ্চাইজি কাবাডি লিগে গিয়েছেন। আর তারা সেখানে ভালো পারফর্ম করেছে। যদিও প্রত্যেকে এক হাজার ডলার করে পেয়েছে। ডলার এখানে বিষয় না। বিষয়টা হলো তাদের জন্য আগামীর দরজা খোলা হয়েছে। সুযোগ তৈরি হয়েছে।’