জাতীয় ক্রীড়াঙ্গনে সাংগঠনিক কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তন আনলো জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। সদ্য প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে তিনটি অ্যাসোসিয়েশন—ঘুড়ি, প্যারা আরচ্যারি এবং খিউকুশিন কারাতে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন ২০১৮ অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে, যা ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক সংস্কার হিসেবে ধরা হচ্ছে।
বিলুপ্ত হওয়া তিন অ্যাসোসিয়ন নিজেদের স্বতন্ত্রতা হারালেও তাদের কার্যক্রম একীভূত হয়েছে সমধর্মী তিনটি ফেডারেশনের সঙ্গে। বাংলাদেশ প্যারা আরচ্যারি অ্যাসোসিয়েশন যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ আরচ্যারি ফেডারেশনের সঙ্গে। খিউকুশিন কারাতে একীভূত হয়েছে বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশনের সঙ্গে এবং বহু পুরনো বাংলাদেশ ঘুড়ি অ্যাসোসিয়েশনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বাংলাদেশ কান্ট্রি গেমস অ্যাসোসিয়েশনে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই একীভূতকরণ যেমন প্রশাসনিক সুশৃঙ্খলা আনবে, তেমনি কর্মপরিধি বাড়াবে সংশ্লিষ্ট ফেডারেশনগুলোর। তবে বাড়তি দায়িত্বের বিপরীতে অর্থ বরাদ্দ ও লজিস্টিক সুবিধা বাড়বে কি না, তা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা।
ঘুড়ি অ্যাসোসিয়েশন প্রায় দুই দশক ধরে সক্রিয় থাকলেও দীর্ঘদিন ধরেই কার্যক্রম স্থবির ছিল। অন্যদিকে, খিউকুশিন কারাতে অ্যাসোসিয়নের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে, যা নিয়েও ক্রীড়াঙ্গনে সমালোচনা ছিল।
এই বিলুপ্তির ফলে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ অধিভুক্ত ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনের সংখ্যা এখন ৫২।
ফুটবল ও ক্রিকেট বাদে অধিকাংশ ফেডারেশনে অ্যাডহক কমিটি রয়েছে। বাকি থাকা তিনটির মধ্যে শুটিং ফেডারেশনের নতুন কমিটি নিয়ে ক্রীড়াঙ্গনে জল্পনা-কল্পনা চলছেই, কারণ আন্তর্জাতিক সাফল্যের পরও শুটিং খেলা রয়েছে স্থবিরতায়।