আর্থিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে ঢাকায় ছয় জাতির আন্তর্জাতিক ভলিবল

কাভা কাপ ফর মেন্স ২০২৫

কাভা কাপ ফর মেন্স ২০২৫ এর ট্রফি উন্মোচন

মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে আগামী ‍বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে সেন্ট্রাল এশিয়ান ভলিবল এসোসিয়েশন অর্থাৎ কাভা কাপ ফর মেন্স ২০২৫ । স্বাগতিক বাংলাদশ ছাড়াও যেখানে অংশ নিচ্ছে তুর্কমেনিস্তান, আফগানিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ।

আগামী ২২ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত অনুষ্ঠেয় টুর্নামেন্ট উপলক্ষে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের অডিটোরিয়ামে ট্রফি উন্মোচন ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বাংলাদেশ ভলিবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিমল ঘোষ ভুলু জানান, “এই আয়োজনে আমাদের মোট বাজেট প্রায় এক কোটি ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকা। আমরা অযথা ব্যয় করতে চাই না; আমাদের মূল লক্ষ্য হলো মাঠের সাফল্য—অন্তত ফাইনালে পৌঁছানো।”

বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক হরষিত বিশ্বাস বলেন, “আমরা দীর্ঘ সময় প্রতিযোগিতার বাইরে ছিলাম। সম্প্রতি আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছি এবং দুটিতেই জিতেছি। এতে দলের আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়েছে। প্রায় এক মাসের প্রস্তুতি ক্যাম্পে আমরা পরিশ্রম করেছি, তাই এবার আমাদের লক্ষ্য স্পষ্ট—ফাইনাল।”

দলের দায়িত্বে রয়েছেন জাপানের কোচ রায়ান মাসাজেদি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, “খেলোয়াড়রা এখন অনেক বেশি ফিট ও আত্মবিশ্বাসী। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচগুলো তাদের প্রস্তুতি ঝালিয়ে নিতে সাহায্য করেছে। আমি নিশ্চিত, তারা এই টুর্নামেন্টে ভালো করবে।”

আগামী বছরের জানুয়ারিতে পাকিস্তানে এসএ গেমস অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সেটি এখনো অনিশ্চিত। ফলে বিদেশি কোচ রাখা নিয়ে ফেডারেশনের কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। ফেডারেশনের সহ-সভাপতি লতিফ শাহরিয়ার জাহেদী বলেন, “আমরা টুর্নামেন্ট শেষে বৈঠকে বসব এবং কোচকে রাখার বিষয়ে আলোচনা করব। আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশের ভলিবলকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া।”

এই কোটি টাকার টুর্নামেন্টের বড় অংশের আর্থিক সহায়তাও আসছে লতিফ শাহরিয়ারের ব্যক্তিগত উদ্যোগে। ফেডারেশনের সভাপতির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও তিনি তা কৌশলে সামাল দেন। বলেন, “একটি ফেডারেশন পরিচালনা দলীয় প্রচেষ্টার বিষয়। সবাই মিলে আমরা ভলিবলকে এগিয়ে নিতে কাজ করছি। একসময় আমাদের র‌্যাংকিং ছিল ৬৫-৭০-এর মধ্যে, এখন সেটা একশ’র বাইরে। তাই আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ বাড়ানোই এখন প্রধান লক্ষ্য।”

দীর্ঘদিন পর আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন দেশীয় ভলিবলে নতুন প্রাণ ফিরিয়ে আনবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। আর সেই আশার প্রতিফলন দেখতে চায় পুরো ভলিবল পরিবার—বাংলাদেশের চোখ এখন ফাইনালে।

Exit mobile version