পল্টন ময়দানে ১৫ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় পর্ব।
নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ প্রতিপাদ্য দেশব্যাপী চলছে তারুণ্যের উৎসব। এ উৎসবে শামিল হয়েছে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনও। ‘তারুণ্যের উৎসব-২০২৫’ উপলক্ষে গত ২০ জানুয়ারি শুরু হয়েছে ‘যুব কাবাডি (অনূর্ধ্ব-১৮ বালক ও বালিকা) প্রতিযোগিতা। দেশব্যাপী এ প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে ‘তারুণ্যের উৎসব-২০২৫’-এ জাগরণ সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন।
দেশের ৬১ জেলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘যুব কাবাডি (অনূর্ধ্ব-১৮ বালক ও বালিকা)’ প্রতিযোগিতা। ৮ জোনে বিভক্ত হয়ে এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে ৩৩৯ উপজেলা। বালক ও বালিকা মিলিয়ে দেশব্যাপী আয়োজনে অংশগ্রহণ করেছে মোট ৫২৯ দল।
বালক বিভাগে অংশগ্রহণ করেছে ৩৩১ দল, বালিকা বিভাগে দলসংখ্যা ১৯৮। জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতার পর জোনাল পর্বে খেলা হয়েছে। এখন জাতীয় পর্বে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার অপেক্ষায় সেরা দলগুলো।
পল্টন ময়দানে ১৫ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় পর্ব। যেখানে মধুমতী, তিস্তা, ধানসিঁড়ি, ব্রহ্মপুত্র, রূপসা, সুরমা, পদ্মা ও কর্ণফুলী জোনের প্রতিযোগিতার বালক ও বালিকা বিভাগের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স-আপ দলগুলো অংশগ্রহণ করবে। তৃণমূল থেকে মনোনীত সেরা খেলোয়াড়দের মাধ্যমে গড়া দলগুলো জাতীয় পর্বে অংশগ্রহণ করবে।
যুব কাবাডি প্রতিযোগিতার বিস্তারিত জানাতে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন ভবনে আজ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সহসভাপতি হাফিজুর রহমান খান, সাধারণ সম্পাদক এস এম নেওয়াজ সোহাগ ও তারুন্যের উৎসবে কাবাডির অর্গানাইজিং কমিটির হেড অফ মার্কেটিং ওয়াহিদ মুরাদ।
সাধারণ সম্পাদক এস এম নেওয়াজ সোহাগ বলেন, ‘যুব কাবাডি প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য ছিল খেলোয়াড় বাছাই করা। ট্যালেন্ট হান্টিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ৭ হাজার খেলোয়াড় আমরা পেয়েছি। সেখান থেকে চূড়ান্ত ভাবে ৫o জন ছেলে আর ৫০ জন মেয়ে বাছাই করা হবে। এরাই হচ্ছে আমাদের ভবিষ্যৎ। তাদের নার্সিং করতে হবে, বিদেশি কোচের অধীনে ট্রেনিং করানোর পরিকল্পনা আমাদের আছে। খেলোয়াড় বাছাইয়ের জন্য ৮ জনের নির্বাচক প্যানেল আছে। বাছাই কার্যক্রম ঠিকমতো না হলে লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয়। এছাড়া ভালো মানের কোচ আমরা আনতে চাই। নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া বা পোল্যান্ড থেকে ফিজিও আনার চেষ্টা করা হচ্ছে’।
বাংলাদেশের কাবাডির হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বর্তমান কমিটি কাজ করছে উল্লেখ করে সাধারণ সম্পাদক এস এম নেওয়াজ সোহাগ বলেন, ‘পদকের জন্য দুইটা জিনিস দরকার। অর্থ আর নিবিড় অনুশীলন। বিভিন্ন গেমসে যে পদক আমরা হারিয়েছি তা পুনরুদ্ধার করতে চাই। এটাই আমাদের নতুন কমিটির প্রধান চ্যালেঞ্জ’।
এ বছর দেশে বিদেশে অনেক টুর্নামেন্ট আছে বাংলাদেশের। পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলতে নেপাল আসছে। পাকিস্তান, ইরান ও ভারতকে আনার চেষ্টাও চলছে বলে জানিয়েছেন কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক।