বিশ্বকাপ মানেই স্বপ্নের মঞ্চ। অথচ সাফল্যের স্বপ্ন নয়, সংসার চালানোর চিন্তায় জর্জরিত সামোয়া নারী রাগবি দলের অনেক খেলোয়াড়। ইংল্যান্ডে শুরু হতে যাওয়া নারী রাগবি বিশ্বকাপে অংশ নিতে গিয়ে তাদের অর্ধেকেরই নাকি ভরসা মানুষের অনুদান কিংবা সম্পত্তি বন্ধক রাখা। এমন বাস্তবতার চিত্র প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) জমকালো আয়োজনে শুরু হবে এবারের আসর। টুর্নামেন্টে অংশ নিতে যাওয়া ১৬ দলের আর্থিক অবস্থা নিয়ে জরিপ চালিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান। সেখানে দেখা যায়, সামোয়ার ৩২ সদস্যের স্কোয়াডের অন্তত অর্ধেক খেলোয়াড় সংসারের খরচ মেটাতে বিভিন্নভাবে অর্থ সংগ্রহ করছেন। দলের অভিজ্ঞ তারকা নিনা ফোয়েসে নিজেই বিষয়টি স্বীকার করেছেন। ৩৬ বছর বয়সী এই খেলোয়াড় তিন সন্তানের মা, পাশাপাশি পেশায় একজন যুব সহায়ক কর্মী।
ফোয়েসে জানিয়েছেন, মানুষের কাছ থেকে পাওয়া সহযোগিতায় তিনি অভিভূত, ‘যত অনুদান পেয়েছি, তা একেবারেই কল্পনার বাইরে। কেউ এতটা আগ্রহ নিয়ে আমাকে সমর্থন দেবে, সেটা ভাবিনি। আমি কৃতজ্ঞ, একইসঙ্গে বিস্মিতও।’ বিশ্বকাপের দলে ডাক পাওয়ার পরই তিনি ব্যক্তিগত তহবিল সংগ্রহের উদ্যোগ নেন।
তার ভাষায়, ‘আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছিলাম, কে কীভাবে ব্যক্তিগতভাবে খরচ সামলাবে। প্রথমে দ্বিধায় ছিলাম, কিন্তু সবাই বললো– ঘরের সন্তানদের দেখাশোনা আর দৈনন্দিন জীবনের জন্যও বাড়তি সহায়তা লাগবে।’
উল্লেখ্য, বিশ্বকাপ চলাকালীন বিশ্ব রাগবি ফেডারেশন সব দলের ভ্রমণ খরচ ও আবাসনের দায়িত্ব নেয়। তবে সামোয়া দলের খেলোয়াড়দের সামান্য ভাতা দিলেও তাদের জন্য কোনো কেন্দ্রিয় চুক্তি বা চুক্তিভিত্তিক বেতন কাঠামো নেই।
রাগবি বিশ্বকাপের প্রতিযোগী আরও বেশকিছু দেশের কেন্দ্রীয় বেতনের চুক্তি কাঠামো থাকলেও সেখানে অর্থের পরিমাণ একদমই কম। তবে আর্থিক সামর্থ্যের বিবেচনায় সামোয়ার খেলোয়াড়দের সার্বিক পরিস্থিতী খুবই বেহাল। অন্যান্য দলে চুক্তিভিত্তিক বেতন স্বল্প হলেও, সামোয়া নারী দলের একদম কিছুই নেই। তারা সংগ্রাম করেই সংসার চালায় একসাথে দেশকেও রিপ্রেজেন্ট করে। এই সংগ্রামের মধ্যদিয়েই চলছে তাদের জীবন।
