দক্ষিণ এশিয়ার অলিম্পিকখ্যাত এসএ গেমসের জন্য অপেক্ষায় থাকেন দেশের ক্রীড়াবীদরা। আগামী বছরের শুরুতে পাকিস্তানে বসতে যাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার সাত দেশের ক্রীড়াবীদদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের লড়াই। সে লড়াইকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ১৭টি ব্যক্তিগত ডিসিপ্লিনের ফেডারেশনের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলো বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন, বিওএ।
সভায় উপস্থিত অ্যাথলেটিক্স ও সাঁতার ফেডারেশনের পক্ষ থেকে চাওয়া হয়েছে বিদেশী কোচ। অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম জানিয়েছেন, সাফ অ্যাথলেটিক্সের জন্য আমরা ক্যাম্প শুরু করে দিয়েছে। মে মাসের পরও আমরা এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাই। সে জন্য আমরা বিওএ’র সহযোগিতা চেয়েছি। বিশেষ করে স্প্রিন্ট ও জাম্পের জন্য বিদেশী কোচের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছি।’
সাঁতার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শাহীন জানিয়েছেন, নেদারল্যান্ডস ও কোরিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশের কোচের বিষয়ে আমরা আলাপ করেছি। প্রয়োজনে আমরা নিজেরাই কোচ আনব। তবে বিওএ’র সহায়তা পেলে অবশ্যই ভালো হয়।
সাঁতার ও অলিম্পিকের মতো স্কোয়াশ, বক্সিং, ব্যাডমিন্টনসহ আরও কয়েকটি ফেডারেশন কোচের জন্য অলিম্পিকের সহায়তা চেয়েছে।
২০১৯ সালের অলিম্পিকে বাংলাদেশ রেকর্ড ১৯টি স্বর্ণ জিতেছিলো। এর অন্যতম কারণে ছিলো আরচ্যারির দশ ইভেন্টের সবগুলোতেই স্বর্ণ জিতেছিলো বাংলাদেশ। আরচ্যারি ফেডারেশনে সারা বছরই অনুশীলন থাকে। আছে বিদেশী কোচ। ফলে তাদের সামনে সেই সাফল্যের পুনরাবৃত্তিই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।