শিকাগোর ইউনাইটেড সেন্টারে অনুষ্ঠিত ইউএফসি ৩১৯–এ ড্রিকাস দু প্লেসিকে একতরফা লড়াইয়ে হারিয়ে মিডলওয়েট চ্যাম্পিয়নশিপ জিতলেন খামজাত চিমায়েভ। খাবিব, ইসলামদের পরে তিনি লিখলেন ইউএফসি তে মুসলিম গর্বের আরেকটা নতুন অধ্যায়।
অপরাজিত দুই ফাইটারের লড়াই হিসেবে বিল করা হলেও, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ ছিল চিমায়েভের দখলে। টানা আক্রমণ আর নিরবচ্ছিন্ন টেকডাউনে তিনি এতটাই প্রভাব বিস্তার করেন যে তিন বিচারকই ৫০–৪৪ স্কোর দেন চেচেন বংশোদ্ভূত এ যোদ্ধার পক্ষে, যিনি রাশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাত—দুই দেশের নাগরিকত্বই ধারণ করেন।
“আমি সবসময় খুশি। আমার কখনো নির্দিষ্ট গেম প্ল্যান থাকে না, জিমে যেমন করি, তেমন লড়াই করি,” ম্যাচ শেষে বলেন চিমায়েভ। “দু প্লেসি শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। শেষ করতে পারিনি, তাই তাকে সম্মান জানাই। অন্তত সে-ই একমাত্র চ্যাম্পিয়ন, যে আমার নাম নিয়েছিল। তার হৃদয় বিশাল।”
এই জয়ে চিমায়েভ ইউএফসিতে নিজের অপরাজিত ধারাকে ১৫ লড়াই পর্যন্ত বাড়ালেন। অন্যদিকে প্রথমবার হারের স্বাদ পেলেন দু প্লেসি, যিনি এর আগে ক্যারিয়ারে ২৩–২ রেকর্ড গড়েছিলেন।
২০২০ সালে ইউএফসিতে প্রবেশ করার পর থেকেই সাড়া ফেলেছিলেন চিমায়েভ। সাবেক চ্যাম্পিয়ন কামারু উসমান ও রবার্ট হুইটাকারকে হারানোর পর এবার তিনি নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করলেন দু প্লেসির বিপক্ষে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৩১ বছর বয়সী এই ফাইটার ১৭টি টেকডাউনের মধ্যে ১২টি সফল করেন এবং ২৫ মিনিটের লড়াইয়ের প্রায় ৮৪ শতাংশ সময় নিয়ন্ত্রণে রাখেন প্রতিপক্ষকে।

দু প্লেসির একমাত্র সুযোগ এসেছিল শেষ রাউন্ডে। ক্লান্ত চিমায়েভকে ঘুরিয়ে ধরে গিলোটিন চোক প্রয়োগ করেছিলেন তিনি। কয়েক সেকেন্ডের জন্য জয়ের সম্ভাবনা জাগালেও চিমায়েভ ঠাণ্ডা মাথায় বেরিয়ে আসেন এবং শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখেন।
“ওর নিয়ন্ত্রণ ছিল অবিশ্বাস্য,” ম্যাচ শেষে বলেন দু প্লেসি। “এটা শক্তির ব্যাপার ছিল না, মনে হচ্ছিল ও আগেই জেনে যাচ্ছে আমি কী করব। গিলোটিনে আমি জয়ের স্বাদ প্রায় পেয়ে গিয়েছিলাম, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সঠিকভাবেই ও জিতেছে। সে-ই আজকের ভালো ফাইটার। আমি অবশ্যই আমার বেল্ট ফেরত নিতে ফিরব।”
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩




















