নভেম্বরজুড়ে যখন বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন ফুটবল,ক্রিকেট,হকি ও দাবায় ব্যস্ত সময় পার করছে, তখন টেনিসেও ছিল আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ ডেভিস কাপ। বাহরাইনে টুর্নামেন্ট শেষ করে বাংলাদেশ দল গতকাল দেশে ফিরেছে। কিন্তু তাদের ফেরার দিনেই তৈরি হয়েছে নতুন আলোচনা টেনিস ফেডারেশনের অস্বাভাবিক নীরবতা নিয়ে।
ডেভিস কাপের প্রতিদিনের ম্যাচ শেষে সাধারণত যেভাবে ফলাফল জানানো হয়, সেই নিয়ম এবার মানা হয়নি। ফেডারেশন পুরো সপ্তাহের ফল একবারে দিয়েছে দেশে ফেরার পর। এমনকি কোনো ছবি পর্যন্ত বিতরণ করা হয়নি। বাংলাদেশ টেনিসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই প্রতিযোগিতা, অথচ প্রচার- প্রসারে এমন অনাগ্রহকে খেলাটির প্রতি ফেডারেশনের বড় ধরনের অবহেলা হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
এমন অবস্থায় টেবিল টেনিস দল এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ খেলে দেশে ফিরলেও, তাদের সম্পর্কে ফেডারেশনের তরফে কোনো তথ্য গণমাধ্যমে জানানো হয়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে।
১৭–২৩ নভেম্বর: বাহরাইনে অনুষ্ঠিত ডেভিস কাপ এশিয়া/ওশেনিয়া গ্রুপ ৫ এ বাংলাদেশসহ মোট ১৪টি দেশ অংশ নেয়। স্বাগতিক বাহরাইন, ব্রুনাই, লাওস, গুয়াম, ম্যাকাও, মালদ্বীপ, মঙ্গোলিয়া, মায়ানমার, নর্দার্ন ম্যারিয়ানা আইল্যান্ডস, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, ইউএই ও ইয়েমেন। দলগুলো চার গ্রুপে বিভক্ত ছিল। বাংলাদেশ ছিল সি গ্রুপে। যেখানে বাংলাদেশের সাথ আরও ছিল , তুর্কমেনিস্তান, বাহরাইন ও ব্রুনাইয়।
প্রথম দিন: বাহরাইনের কাছে ০–৩, দ্বিতীয় দিন: তুর্কমেনিস্তানের কাছে ০-৩ এবং তৃতীয় দিন: ব্রুনাইকে ৩-০ হারিয়ে গ্রুপে তৃতীয় অবস্থান নিয়ে গ্রুপ পর্বের খেলা শেষ করে বাংলাদেশ।
তৃতীয় দিনের খেলায় তানভির পাশা জেতে জাভিন ইয়ং কোক লিমের বিপক্ষে, রুস্তম আলী জেতেন আইমান আব্দুল্লাহর বিপক্ষে এবং দ্বৈতে জারিফ–ইমন জয়ী হয়।
চতুর্থ দিন: ১১–১২তম স্থান নির্ধারণী ম্যাচে মায়ানমারের কাছে ০-২ ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ টুর্নামেন্ট শেষে ১২তম স্থানে।
ফেডারেশন থেকে জানানো হয়, দলের প্রস্তুতিতে কয়েক মাস ক্যাম্প হয়েছিল। তাই ভালো ফলের আশা ছিল। কিন্তু ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ কারেন বলেন,
“প্রস্তুতি অনুযায়ী আরও ভালো ফল হওয়ার কথা ছিল। ড্রতে আমরা কঠিন গ্রুপে পড়েছি। এটা ফলাফলে প্রভাব ফেলেছে।”
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩



















