বিদায় টেনিস কিংবদন্তিকে
পিয়েত্রানজেলি – টেনিস কিংবদন্তিকে বিদায় ,ইতালির টেনিস ইতিহাসের এক বিশাল নাম নিকোলা পিয়েত্রানজেলি আর নেই। সোমবার ৯২ বছর বয়সে এই কিংবদন্তির মৃত্যুর খবর জানিয়েছে ইতালিয়ান টেনিস ও প্যাডেল ফেডারেশন, যার ভিত্তিতে সংবাদ প্রকাশ করেছে বিবিসি। মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণ জানানো হয়নি।

১৯৫০ ও ৬০-এর দশকে ইতালির হয়ে টেনিসে আধিপত্য দেখানো পিয়েত্রানজেলি ১৯৫৯ সালে ফরাসি ওপেন জিতে দেশের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয় এনে দেন। আন্তর্জাতিক টেনিস হল অব ফেমে স্থান পাওয়া একমাত্র ইতালিয়ানও তিনি। দীর্ঘ ক্যারিয়ারের শেষে পরন্ত বয়সেও বহুবার পুরস্কার তুলে দিয়েছেন আধুনিক টেনিস-তারকা রাফায়েল নাদালের হাতে। কিংবদন্তির মৃত্যুতে নাদাল লিখেছেন, ইতালি এবং বিশ্ব টেনিসের এক মহান ব্যক্তিত্বের মৃত্যুতে গভীর শোক জানাই। তার পরিবার, ছেলে ফিলিপ্পো এবং পুরো ইতালিয়ান টেনিস পরিবারকে সমবেদনা। শান্তিতে বিশ্রাম নিন, নিকোলা।
ইতালির টেনিসে পিয়েত্রানজেলির রেকর্ড বহু বছর অক্ষত ছিল। তার দুটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম-জয়ের রেকর্ড ভাঙেন ইতালির, জানিক সিনার, যিনি ২০২৫ সালে টানা দ্বিতীয় অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতে নিজের গ্র্যান্ড স্ল্যাম সংখ্যা বাড়িয়েছেন চারটিতে।
গাজেত্তা দেলো স্পোর্ত কে ২০২০ সালে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পিয়েত্রানজেলি বলেছিলেন, ১৯৬০ সালের শিরোপার জন্য আমি ১৫০ ডলার পেয়েছিলাম। এতে রোমে আমার দুই মাসের বাসাভাড়া চলেছিল।
ফরাসি ওপেনে দু’বার (১৯৬১, ১৯৬৪) রানার্সআপ হওয়া এই তারকা দুটি ফাইনালেই হেরেছিলেন স্পেনের মানুয়েল সান্তানার কাছে। ১৯৫৯ সালে অরল্যান্ডো সিউরোলার সঙ্গে জুটি বেঁধে জেতেন ডাবলস শিরোপা।
১৯৬৪ সালের ফাইনালের স্মৃতি মনে করে তিনি বলেছিলেন, আমরা বাজি ধরেছিলাম, যে হারবে সে খাওয়াবে। পরে আমি প্রতিশ্রুতি রাখলাম। ১০ জন ডিনারে গেলাম, স্ত্রীদের নিয়ে। সান্তানা ফুটবলার লুইসিতো সুয়ারেসকেও এনেছিল। পুরো টুর্নামেন্ট থেকে যা আয় করেছিলাম, সব খরচ হয়ে যায় সেদিন রাতে।
উইম্বলডনের ১৯৬০ সালের সেমিফাইনাল এবং ১৯৫৭ সালের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের কোয়ার্টার-ফাইনালেও পৌঁছেছিলেন পিয়েত্রানজেলি। শেষ পর্যন্ত জীবনের সব গল্প, সাফল্য আর রোমাঞ্চ নিয়ে বিদায় নিলেন ইতালির এই টেনিস গুরু, রেখে গেলেন ইতিহাসের অপূরণীয় অধ্যায়।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩






















