৮ জুলাই ২০২৫, ঠিক আজকে দিনে, ২০১৪ সালের ৮ জুলাই, ব্রাজিলের বেলো হরিজন্তে শহরের মিনেইরাও স্টেডিয়ামে ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম চাঞ্চল্যকর ও হৃদয়বিদারক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ফিফা বিশ্বকাপ ২০১৪-র সেমিফাইনালে আয়োজক দেশ ব্রাজিল ৭-১ গোলে পরাজিত হয়েছিল জার্মানির কাছে, যা আজও বিশ্বকাপ ইতিহাসের অন্যতম আলোচিত ও স্মরণীয় ঘটনা হিসেবে বিবেচিত।
ম্যাচের প্রেক্ষাপট ও গুরুত্ব, ফুটবলের ইতিহাসে ব্রাজিল একটি গৌরবময় নাম। নিজেদের মাটিতে আয়োজিত সেই বিশ্বকাপে দলটির প্রতি ছিল অগণিত সমর্থকের অগাধ প্রত্যাশা। কিন্তু সেমিফাইনালে পা রাখার পরই ঘটে অপ্রত্যাশিত বিপর্যয়। ইনজুরির কারণে দলে ছিলেন না তারকা ফরোয়ার্ড নেইমার, নিষেধাজ্ঞার কারণে অনুপস্থিত ছিলেন অধিনায়ক থিয়াগো সিলভা। এই দুই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়কে ছাড়াই মুখোমুখি হতে হয় শক্তিশালী জার্মানির।
ম্যাচের সারসংক্ষেপ, মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যেই স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৫-০। ১১ মিনিটে টমাস মুলার গোল করে জার্মানিকে এগিয়ে নেন।এরপর মিরোস্লাভ ক্লোজে, টনি ক্রুস (২টি), এবং সামি খেদিরা একে একে গোল করে ব্যবধান বাড়িয়ে দেন।
দ্বিতীয়ার্ধে অ্যান্ড্রে শার্লে আরও দুটি গোল করে জার্মানির পক্ষে গোলসংখ্যা ৭-এ পৌঁছে দেন ব্রাজিলের হয়ে একমাত্র সান্ত্বনার গোলটি আসে ৯০ মিনিটে, মিডফিল্ডার অস্কারের পায়ে।
বিশ্ব রেকর্ড ও প্রতিক্রিয়া|, এই ম্যাচেই মিরোস্লাভ ক্লোজে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ড গড়েন (১৬টি)। ম্যাচ শেষে ব্রাজিলিয়ান দর্শকদের চোখের জল, খেলোয়াড়দের হতাশ মুখ এবং বিশ্বজুড়ে দর্শকদের বিস্ময় – সবকিছু মিলে এটি রূপ নেয় এক ঐতিহাসিক অধ্যায়ে।
ব্রাজিল কোচ ফেলিপে স্কলারি একে “ক্যারিয়ারের সবচেয়ে খারাপ দিন” হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। সারা বিশ্বে এই ম্যাচ ঘিরে তৈরি হয় নানান প্রতিক্রিয়া, ব্যঙ্গাত্মক মিম এবং আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।
১১ বছর পর, সেই স্মৃতি এখনো জীবন্ত, আজ, ৮ জুলাই ২০২৫ -ঘটনার ১১ বছর পেরিয়ে গেলেও ফুটবলপ্রেমীদের মনে সেই রাতের স্মৃতি এখনো গভীরভাবে দাগ কেটে আছে। ব্রাজিলীয় ফুটবল ইতিহাসে এটি শুধুমাত্র একটি হারের দিন নয়, বরং একটি যুগের অবসান ও নতুন অধ্যায়ের সূচনা
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩




















