নারী বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে তিন দলের টুর্নামেন্ট খেলছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটাররা। তবে এই সিরিজ ঘিরে বিতর্ক কম নয়, কারণ তৃতীয় দল হিসেবে রাখা হয়েছে বিসিবির অনূর্ধ্ব-১৫ ছেলেদের দলকে। এর আগেই তারা হারিয়েছে নিগার সুলতানা জ্যোতির নেতৃত্বাধীন লাল দলকে। এবার নাহিদা আক্তারের নেতৃত্বাধীন সবুজ দলকেও হারাল যুবকরা। বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে অনূর্ধ্ব-১৫ দল জয় পায় ৪১ রানে।
আগে ব্যাট করে ৩৯ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮৯ রান তোলে অনূর্ধ্ব-১৫ দল। দলের হয়ে খেয়াল রায় ওম খেলেন সেরা ইনিংস, ৯৯ বলে ৮২ রান। তাকে সঙ্গ দেন ইরফান, ৬৮ বলে করেন ৪৮ রান। শেষ দিকে বায়োজিদ অপরাজিত থাকেন ২৩ বলে ২১ রানে। নারী সবুজ দলের হয়ে রাবেয়া খান দুর্দান্ত বোলিং করে ৩৩ রানে ৪ উইকেট নেন। সুলতানা পান দুটি উইকেট।
বৃষ্টি আইনে নারী দলের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩০ ওভারে ১৭৭ রান। তবে শুরুতেই চাপ তৈরি করে দেন অনূর্ধ্ব-১৫ বোলাররা। দলীয় ১৩ রানে সাজঘরে ফেরেন শারমিন আক্তার সুপ্তা (১৫ বলে ১)। শিগগিরই ফিরেন আরেক ওপেনার দিলারা আক্তারও (২৩ বলে ৬)। এরপর রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক ও সোবহানা মোস্তারি দলকে আশা জাগালেও শেষ পর্যন্ত জয় ধরে রাখতে পারেননি।
তাদের জুটিতে আসে ৭৬ রান। কিন্তু ম্যাচের মোড় ঘোরানো সময়ে সোবহানা (৫৬ বলে ৩৫) আউট হলে ভেঙে পড়ে সবুজ দলের ইনিংস। ফিফটি পূর্ণ করা ঝিলিক (৫৮ বলে ৫১) ফেরেন কিছুক্ষণ পরই। শেষদিকে অধিনায়ক নাহিদা আক্তার ও ইরা ব্যর্থ হলে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি দল। নির্ধারিত ৩০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ থামে ১৩৫ রানে।
অনূর্ধ্ব-১৫ দলের হয়ে মাহিন হোসেন আলিফ, আদিব ও আব্দুল্লাহ নেন দুটি করে উইকেট। “ছেলেদের বলের গতি ও বাউন্স সামলানো আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে,” ম্যাচ শেষে মন্তব্য করছিলেন নারী দলের এক সিনিয়র খেলোয়াড়।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩



















