মিয়ানমার ও বাহরাইনের বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল প্রথমবারের মতো জায়গা করে নিয়েছে এএফসি নারী এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে। তবে এখানেই থামতে চায় না আফঈদা-ঋতুপর্ণারা। সামনে যে আরও বড় স্বপ্নের দুয়ার খুলে গেছে—নারী বিশ্বকাপ ও অলিম্পিকে খেলার সুযোগ!
২০২৬ সালে অনুষ্ঠিতব্য এশিয়ান কাপের মূলপর্ব এবার বাছাইপর্ব হিসেবে কাজ করবে ২০২৭ নারী বিশ্বকাপ ও ২০২৮ লস এঞ্জেলস অলিম্পিকের জন্য। অর্থাৎ, বাংলাদেশের মেয়েরা ভালো করলে বিশ্বমঞ্চে খেলাও আর স্বপ্ন থাকবে না—পরিণত হবে বাস্তবে।
১২ দলের মূলপর্বে তিনটি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে দলগুলো। সেখান থেকে তিন গ্রুপের শীর্ষ দুই দল ও তৃতীয় হওয়া সেরা দুটি দল উঠবে কোয়ার্টার ফাইনালে। সেমিফাইনালে পৌঁছানো চারটি দল সরাসরি খেলবে বিশ্বকাপে। কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বাদ পড়া চারটি দল খেলবে প্লে-অফ, যেখানে দুটি দল বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে পারবে। আর পরাজিত দুটি দল পাবে আন্ত-মহাদেশীয় প্লে-অফের সুযোগ।
অন্যদিকে অলিম্পিকের বাছাই হিসেবেও এই টুর্নামেন্ট গুরুত্বপূর্ণ। যে কোনোভাবে গ্রুপ পর্ব টপকাতে পারলেই লস এঞ্জেলস অলিম্পিকের দৌড়ে থাকবেন আফঈদারা।
এশিয়ান কাপে সুযোগ পাওয়ায় এবার সাফ অঞ্চলের আরও দুটি দেশ, ভারত ও নেপালেরও সম্ভাবনা জেগে উঠেছে। ভারত শেষ ম্যাচে থাইল্যান্ডকে ও নেপাল উজবেকিস্তানকে হারাতে পারলে তারাও মূলপর্বে খেলবে। সেক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়া থেকে তিনটি দল খেলবে এশিয়ার সর্বোচ্চ আসরে।