কঠিন সময়, দলে ভাঙন, নেতৃত্ব সংকট। এই বাস্তবতার ভেতর দিয়েই বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ইতিহাস গড়েছে। যে দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিল শঙ্কা, সেই দলই এখন প্রথমবারের মতো জায়গা করে নিয়েছে নারী এশিয়ান কাপের মূলপর্বে। এই কৃতিত্বের বড় অংশই অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার প্রীতির কাঁধে।
মাত্র ১৮ বছর বয়সে দায়িত্ব নিয়েছেন এক টালমাটাল সময়ে। সাবিনা খাতুনসহ একাধিক সিনিয়র খেলোয়াড় বিদ্রোহ করে দলে না থাকায় নেতৃত্ব ও রক্ষণের ফাঁকা জায়গা একাই সামলেছেন আফঈদা। নিজের পারফরম্যান্সের পাশাপাশি দলকে একত্র করে মাঠে নামিয়েছেন আত্মবিশ্বাস নিয়ে।
বিশ্বাসটাই ছিল তার মূল হাতিয়ার। বাহরাইনের বিপক্ষে ৭-০ গোলের দুর্দান্ত শুরু, এরপর র্যাঙ্কিংয়ে ৭৩ ধাপ এগিয়ে থাকা স্বাগতিক মিয়ানমারকে ২-১ গোলে হারিয়ে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে জায়গা করে নিয়েছে লাল-সবুজের মেয়েরা।
ম্যাচ শেষে আফঈদা বলেন, “এই জয় আমার অধিনায়কত্বের সবচেয়ে বড় সাফল্য। আমরা বিশ্বাস করতাম পারব, সেটাই বাস্তব হয়েছে। সমর্থকদের পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা।”
অসাধারণ নেতৃত্বের পেছনে ছিল তার সহজ দর্শন—“চাপ নিলে চাপ, না নিলে কিছুই না।” সেই মনোভাবেই রক্ষণে ছিলেন অনড়, দলের সংকটে ছিলেন সাহসী নেত্রী।
পিটার বাটলারের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন কাজে। জাতীয় দলের নেতৃত্ব পেয়েও অনূর্ধ্ব-২০ সাফ জয়ী সেই আফঈদাই এখন বাংলাদেশের স্বপ্নযাত্রার কাণ্ডারি।
এক সময় জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া নিয়েই ছিল প্রশ্ন। আজ তিনি ইতিহাসের প্রথম নারী অধিনায়ক, যাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ নারী দল জায়গা করে নিয়েছে এশিয়ান কাপে।