জোড়া সাফল্যের পরেও অবহেলিত মনিকা

সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা ধরে রেখেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। এই জয়ের নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন মনিকা চাকমা। খাগড়াছড়ির প্রত্যন্ত সুমন্ত পাড়া গ্রাম থেকে উঠে আসা এই কৃতী ফুটবলারের কৃতিত্বে আনন্দে মাতোয়ারা গ্রামবাসী। দেশের মুখ উজ্জ্বল করা সত্ত্বেও তাঁর গ্রামের উন্নয়ন আজও অধরা।

দুই বছর আগে প্রথমবার সাফ জয়ী হওয়ার পর মনিকার বাড়িতে বিদ্যুৎ, রাস্তা ও ব্রিজের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও বাস্তবায়ন হয়েছে কেবল একটি ঘর। বিদ্যুৎ ও সড়ক যোগাযোগের আশ্বাস মিললেও আজও সেসব সুবিধা অধরাই রয়ে গেছে। বর্ষাকালে কাদা আর সাঁকো পার হয়ে যেতে হয় মনিকার গ্রামে।

মনিকার বাবা বিন্দু কুমার চাকমা জানান, মেয়ের সাফল্যে পুরো উপজেলাবাসী আনন্দিত। তাকে ঘিরে আশেপাশের শিশু-কিশোররাও ফুটবলে উৎসাহিত হচ্ছে। মনিকার মতো আরও প্রতিভাবান খেলোয়াড় তৈরি করতে গ্রামবাসী আগ্রহী। তবে এলাকার দুর্গম অবস্থা ও ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধার অভাবে হতাশা বাড়ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছেনমং রাখাইন জানান, আগের জেলা প্রশাসক যে রাস্তা ও অন্যান্য সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা বাস্তবায়নের জন্য শীঘ্রই পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাশাপাশি, জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে মনিকার পরিবারের সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চলছে।

অন্যদিকে, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সুপার জ্যোতি চাকমা মনিকার কীর্তিতে গর্বিত হলেও আগের প্রতিশ্রুতিগুলোর পূর্ণ বাস্তবায়ন চান।

Exit mobile version