তীব্র লড়াইয়েও জয় পেল না বাংলাদেশ
নারী এশিয়ান কাপ ফুটবলের মূল পর্ব ঘনিয়ে আসছে। সেই কারণে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে ভালো প্রস্তুতি দিতে ত্রিদেশীয় ফুটবল সিরিজ আয়োজন করে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। মালয়েশিয়ার কাছে ১-০ গোলে হারের পর আজ ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে দুর্দান্ত লড়াই করেও শেষ মুহূর্তের গোলে ২–১ ব্যবধানে আজারবাইজানের কাছে হারল বাংলাদেশ । ১-১ সমতা থাকা ম্যাচের ৮৪ মিনিটে গোল হজম করে পরাজয় দেখেছেন আফঈদা-ঋতুপর্নারা।
দুই দলই র্যাঙ্কিংয়ে অনেক এগিয়ে বাংলাদেশের চেয়ে। সে কারণে এই ত্রিদেশীয় ফুটবল সিরিজে মূল লক্ষ্য ছিল নিজেদের স্কিল ও কৌশলের ঘাটতি অনুসন্ধান করা। যতটা সম্ভব লড়াই করার লক্ষ্য নিয়ে আফঈদা খন্দকার ও ঋতুপর্না চাকমারা বেশ ভালোই করেছেন।

দৈহিক শক্তি, কৌশল এবং র্যাঙ্কিং সবকিছুতে অনেক এগিয়ে থাকা ইউরোপের দল আজারবাইজানের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ৭৪ নম্বরে থাকা আজারবাইজানের সঙ্গে দুর্দান্ত লড়াই করেছে ১০৪ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ।
ভালো খেললেও চিরাচরিত নিয়মে ডিফেন্সের ভুলে ম্যাচের ফল বাংলাদেশের ভাগ্যে আসেনি। ড্র হতে পারতো ম্যাচটি। কিন্তু শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে বাংলাদেশ। ৮৪ মিনিটে মানিয়া ইশরা বক্সের মধ্যে ক্রস থেকে বল পেয়ে ঠান্ডা মাথার নিখুঁত প্লেসিংয়ে গোল করে আজারবাইজানকে জিতিয়েছেন। ডিফেন্ডার শামসুন্নাহার ইশরাকে মার্ক করতে পারেননি। অন্য ডিফেন্ডাররাও বল ক্লিয়ার করতে পারেননি।

মান্ডার গোলেও সমতায় টিকল না বাংলাদেশ
দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশের দিকেই বল বেশিরভাগ সময় থেকেছে। বাংলাদেশের গোলরক্ষক রুপনা চাকমা কয়েকবারই বলের ফ্লাইট ও গ্রিপ মিস করেছেন। বাংলাদেশ কিছু কাউন্টার অ্যাটাক করে সফল হতে পারেনি। কোচ পিটার বাটলার ৩ ফুটবলার পরিবর্তন করেও ফলাফল বদলাতে পারেননি।
ম্যাচের ২০ মিনিটেই আজারবাইজান লিড নেয়। বানিয়া ইশরাকের ক্রস থেকে অধিনায়ক জাফরজেদা গোল করেন (১-০)। তিনি গোল করে কিছুক্ষণ কেঁদেছেন। সতীর্থরা তাকে সামাল দিয়েছেন। ১৪ মিনিট পর মারিয়া মান্ডার দুর্দান্ত গোলে বাংলাদেশ সমতা পায় (১-১)।

স্বপ্না রাণীর কর্নার থেকে কয়েক পা ঘুরে বক্সে বল পান মারিয়া। বাঁ পায়ে দর্শনীয় সাইড ভলিতে বল জালে জড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শেষ পর্যায়ে মনোযোগ রাখতে পারেননি আফঈদারা, তাই হেরেছেন।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩


















