শুটিংয়ে যৌন হয়রানি তদন্তে এনএসসির কমিটি

৩ সদস্যের কমিটিতে সময় দেওয়া হয়েছে ৭ দিন

বাংলাদেশের শুটিং ফেডারেশনেও নারীদের হয়রানির অভিযোগ

শুরুটা করে দিয়েছেন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক জাহানারা আলম। বিভিন্ন সময়ে তাকে এবং অন্য নারী ক্রিকেটারদের কিভাবে যৌন হয়রানিমূলক আচরণ করা হয়েছে সেই অভিযোগ করে ক্রীড়াঙ্গনে হৈচৈ ফেলে দিয়েছেন তিনি। কিছুদিন বাদে অন্য নারী ক্রিকেটাররাও অভিযোগ জানাতে শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় জাতীয় শুটার তাসমায়াতি এমা ফেডারেশনের বর্তমান যুগ্ম সম্পাদক জিএম হায়দারের (সাজ্জাদ) বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনেন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে। 

দেশের ক্রীড়াঙ্গনে নারীরা নিরাপদ নয়- এটি যেন জাহানারা দুটি সাক্ষাতকারে মুখ না খুললে জানাই হতো না। তিনি সরাসরি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) একাধিক কর্মকর্তা, কোচিং স্টাফ ও সাবেক নির্বাচকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানিমূলক আচরণের অভিযোগে করেন। এরপর বিসিবির গঠিত ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এখন জাতীয় নারী শুটার তাসমিয়াতি এমার করা অভিযোগ নিয়ে নড়ে উঠেছে সবাই। শুটিংয়ে নারী নিপীড়নের বিষয়টি তদন্তে করা হয়েছে কমিটি।

যৌন হয়রানির অভিযোগ তদন্তে এনএসসি যে কমিটি গঠন করেছে সেখানে আছেন ৩ জন। আহ্বায়ক করা হয়েছে সাবেক জাতীয় সাঁতারু ও সাঁতার ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক নিবেদিতা দাসেকে। তিনি সম্প্রতি সাঁতারের একটি নারী নির্যাতনের তদন্ত কমিটিতেও কাজ করেছেন। সেই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী কোচ আলমগীরকে শাস্তির সিদ্ধান্তও দিয়েছে ফেডারেশন। 

এখন আবার নিবেদিতা দাসকে তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন-সাবেক ভারত্তোলক ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সহকারী পরিচালক (ক্রীড়া) শাহরিয়া সুলতানা সূচি এবং শুটিং ফেডারেশনের সদস্য দাইয়ান নাফিস। শুটিং ফেডারেশনের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তের কমিটিতে শুটিং ফেডারেশনেরই এক সদস্য থাকায় এর নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা নিয়ে খানিকটা প্রশ্ন উঠেছে। সাবেক জাতীয় শুটার ও কোচ শারমিন আক্তার রত্না এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনামূলক পোস্টও দিয়েছেন।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে

অবশ্য গঠিত তদন্ত কমিটিকে ৭ দিনের মধ্যেই প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক (ক্রীড়া) আমিনুল এহসান তদন্ত কমিটি সংক্রান্ত চিঠির আদেশ স্বাক্ষর করেছেন। তার কাছেই তদন্ত প্রতিবেদন দিতে হবে। ক্রীড়াঙ্গনে ইতোপূর্বে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ নারী নিপীড়ন নিয়ে কয়েকটি তদন্ত করলেও অধিকাংশই আলোর মুখে দেখেনি। এমার অভিযোগটি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আমলে নিয়ে তদন্ত করেছে।

দেশের অন্যতম সেরা নারী শুটার কামরুন নাহার কলিও জিএম হায়দার সাজ্জাদের উপর মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ এনেছেন। এ নিয়ে তিনি উপদেষ্টা বরাবর চিঠিও দিয়েছেন। জিএম হায়দারকে নিয়ে শুটিং অঙ্গনে বিতর্ক রয়েছে অনেক। এজন্য শুটাররা তাকে অ্যাডহক কমিটিতে না রাখার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। ক্রীড়াঙ্গন সংস্কার ও ফেডারেশন পুর্নগঠনের জন্য গঠিত সার্চ কমিটি শুটিং ফেডারেশনে সাজ্জাদের নাম প্রস্তাব করেনি, এরপরও তিনি যুগ্ম সম্পাদক হয়েছেন।

Exit mobile version