সালমাকে ছাড়িয়ে নাহিদা টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী

বয়সটা সবেমাত্র ২৩। অনায়াসেই খেলতে পারবেন আরও কয়েকটা বছর। এরই মধ্যে একটা রেকর্ডের মালিক বনে গেলেন বাঁ-হাতি এই স্পিনার। নারীদের টি-টোয়েন্টিতে দেশের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী এখন নাহিদা। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচে এক উইকেট নিয়েছেন তিনি। ৭২ ম্যাচে তার উইকেটসংখ্যা এখন ৮৫। প্রথম দুই ম্যাচে নিয়েছিলেন ৭ উইকেট।

বলহাতে সাফল্য ধরে রাখতে পারলে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারবেন তিনি এমন আশা করাই যায়। ম্যাচের চেয়ে তার উইকেট শিকার দেখেই বোঝা যায় কিভাবে নিজেকে নিয়ে কাজ করছেন নাহিদা। দেশের পক্ষে টি-টোয়েন্টিতে এতোদিন সর্বোচ্চ ৮৪ উইকেট ছিলো দেশের আরেক লিজেন্ড নারী ক্রিকেটার সালমা খাতুনের। প্রায় একযুগের ক্যারিয়ারে সালমা খেলেছেন ৯৫টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি।

সালমা আবারও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ফিরতে পারবেন কিনা এটাও এখন বড় প্রশ্ন। কেননা, সর্বশেষ ভারতের বিপক্ষে এক ম্যাচসহ আগের চার ম্যাচে বলহাতে ছিলেন উইকেটশূন্য। বোলিংটাই তার মূল শক্তি। ফলে সালমাকে হয়তো আর নাও দেখা যেতে পারে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে। সেক্ষেত্রে নাহিদা নিজেই নিজের প্রতিদ্বন্দ্বি।

তবে নাহিদাদের জন্য যারা দিনের পর দিন মাঠের রুদে পুড়ে একটা ভিত তৈরি করে দিয়েছেন তাদের মধ্যে সবার আগেই থাকবে একটা নাম। হয়তো তথাকথিত গ্ল্যামার নিয়ে তিনি জন্মাননি। কথাবার্তায়ও পটু নন। উচ্চারণটাও ঠিকঠাক আধুনিক নয়। তবুও এই মানুষটাকে আপনার আলাদা করে সম্মাণ জানাতে হবে। তিনি সালমা খাতুন।

২০১১ সাল থেকে দেশের ক্রিকেটে যতো সাফল্য এসেছে তাতে জড়িয়ে আছেন খুলনার এই ক্রিকেটার। লম্বা সময় ধরে দলের নেতৃত্বের ভারটা সামলেছেন তিনি। নারী ক্রিকেটে আরও কয়েকটা নাম না নিলেই নয়। এর মধ্যে সাথিরা জাকির জেসি, জাহানারা আলমরাতো থাকবেন প্রথম সারীতে। ক্রিকেট ছেড়ে এখন বাংলা কমেন্ট্রিতে ভারতীয় স্যাটেলাইট চ্যানেল স্টার স্পোর্টসের নিয়মিত মুখ এখন জেসি। এছা্ড়াও আম্পায়রিংটাও করছেন নিয়মিত। এমনকি ছেলেদের ম্যাচও নিয়মিত পরিচালনা করছেন তিনি।

তবে জাহানারাকে একটা কারণে এগিয়ে রাখতেই হবে। সেটা তার পেস বোলিংয়ের কারণে। নিজের একাগ্র অনুশীলন এবং ক্রিকেটের প্রতি তার ডেডিকেশনের কারণেই তিনি নিজেকে নিয়ে গেছেন অন্য উচ্চতায়। যদিও এখন তিনি দলের বাইরে। তবে আন্তর্জাতিক ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে এখনও দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। ক্রিকেটীয় নৈপূণ্যের পাশাপাশি নিজের স্মার্টনেসের কারণে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও বেশ নজর কেড়েছিলেন তিনি।

জাহানারার মতো গতিতে ঝড় তোলা আরেক উদীয়মান ক্রিকেটারও ভবিষ্যতে হতে পারেন দেশের নারী ক্রিকেটে উজ্জ্বল এক নাম। তিনি মারুফা আক্তার। গত জুলাইয়ে ঘরের মাটিতে ভারতকে হারিয়ে হইচই ফেলে দেয় বাংলাদেশ। দলের অন্যতম সেরা পারফর্মার ছিলেন মারুফা।

ভারতের বিপক্ষে সিরিজটি এতোটাই আলোচিত ছিলো যে, ভারতীয় অধিনায়ক হারমানপ্রিত মেজাজ হারিয়ে একের পর এক বিতর্ক জন্ম দিয়েছিলেন। অবশ্য দলটারই আরেক সদস্য স্মৃতি মান্ধানা প্রশংসায় ভাসিয়েছিলেন বাংলাদেশের নতুন পেস সেনসেশন মারুফা আক্তারকে।

Exit mobile version