বাংলাদেশ নারী ফুটবলের জন্য ২০২৫ সাল নিঃসন্দেহে মাইলফলক হয়ে থাকছে। সিনিয়র দল ও অনূর্ধ্ব-২০ দলের পর এবার অনূর্ধ্ব-১৭ দল নামছে এশিয়ান কাপে নিজেদের ভাগ্য পরীক্ষা করতে। সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ, তবে তরুণীদের চোখে ভরসা ও আত্মবিশ্বাস।
এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ নারী এশিয়া কাপের বাছাইপর্বে বাংলাদেশের গ্রুপে রয়েছে স্বাগতিক জর্ডান ও চাইনিজ তাইপে। তিন দলের এই গ্রুপ থেকে কেবল চ্যাম্পিয়ন দলই মূল পর্বে খেলার সুযোগ পাবে। আগামী ১৩ অক্টোবর বাংলাদেশের মেয়েরা নামবে জর্ডানের বিপক্ষে। চার দিন পর প্রতিপক্ষ হবে চাইনিজ তাইপে। আকাবা স্টেডিয়ামের কৃত্রিম টার্ফেই হবে এই লড়াই।
টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে লাল-সবুজ শিবিরে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। সংযুক্ত আরব আমিরাতে তারা আরও দুইটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে—৭ অক্টোবর সিরিয়ার সঙ্গে এবং ৯ অক্টোবর স্বাগতিক আমিরাতের বিপক্ষে। কোচদের বিশ্বাস, এই ম্যাচগুলো মূল লড়াইয়ের আগে বড় ভূমিকা রাখবে।
এই আসরে অনূর্ধ্ব-১৭ দলের দায়িত্বে আছেন বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর সাইফুল বারী টিটু। হাতে প্রস্তুতির সময় খুব কম হলেও তিনি আশাবাদী, “জর্ডান ও তাইপে আমাদের চেয়ে শক্তিশালী। তবু আমরা লড়াই করব সেরাটা দেওয়ার জন্য।”
অধিনায়ক অর্পিতা বিশ্বাসও ভরসা রাখছেন সতীর্থদের ওপর, “সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ খেলে আসার পর আমরা অনুশীলনে ছিলাম নিয়মিত। দুবাইয়ে দুটি ম্যাচ আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। আশা করছি জর্ডান থেকে ভালো কিছু নিয়েই ফিরব।”
দলের সহকারী কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন জয়া চাকমা। মূলত আন্তর্জাতিক রেফারি হলেও কোচিং লাইসেন্সপ্রাপ্ত জয়া বিকেএসপিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা কাজে লাগাচ্ছেন এই দলে। নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ যদিও খুব বেশি প্রত্যাশা দেখছেন না। তবে তিনি বলেন, “যদি মেয়েরা মূল পর্বে উঠতে পারে, তখন বাফুফে বাড়তি প্রস্তুতির ব্যবস্থা করবে।”
দলের সঙ্গে নির্বাহী সদস্য টিপু সুলতানও যাচ্ছেন দলনেতা হিসেবে। খরচ বহন করবেন নিজ উদ্যোগেই।
বাংলাদেশ ইতোমধ্যে দুইবার অ-১৬ পর্যায়ে এশিয়ার মূল পর্বে খেলেছে। সেই অভিজ্ঞতা দেখিয়েছে—ইচ্ছাশক্তি থাকলে অসম্ভবকে সম্ভব করা যায়। এবার অর্পিতা-সাথীদের লক্ষ্য ইতিহাস পুনরাবৃত্তি করা।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩

















