ফিক্সিংকাণ্ডে নিষিদ্ধ হয়ে বাংলাদেশী খেলোয়াড়দের মধ্যে যুক্ত হলেন আরও একজন। তিনি অফ-স্পিনার অলরাউন্ডার সোহেলী আক্তার। তবে সবাই ছাড়িয়ে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হলেন সোহেলী। এর আগে বিভিন্ন মেয়াদে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল, সাকিব আল হাসান ও নাসির হোসেন।
আজ (মঙ্গলবার) এক ইমেইল বার্তায় সোহেলীকে নিষিদ্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। আইসিসি;র বার্তায় জানানো হয়েছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পর তদন্ত করে সোহেলীর বিরুদ্ধে পাঁচটি বিষয় প্রমানিত হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে নীতিমালার ২.১.১ ধারা (আন্তর্জাতিক ম্যাচ পাতানো), ২.১.৩ ধারা (ম্যাচ পাতানো বা স্পট ফিক্সিংয়ের উদ্দেশে ঘুষ নেওয়া), ২.১.৪ ধারা (অন্যদের প্ররোচিত করা), ২.৪.৪ ধারা (ফিক্সিংয়ের প্রস্তাবের কথা আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটকে না জানানো) ও ২.৪.৭ ধারা (আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটের তদন্তে বাধা তৈরি করা)।
৩৬ বছর বয়সি সোহেলী জাতীয় দলের হয়ে দু’টি ওয়ানডে ও ১৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেন। সর্বশেষ জাতীয় দলের হয়ে তিনি মাঠে নামেন ২০২২ সালের অক্টোবরে। ২০২৩ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ নারী দলের এক ক্রিকেটারকে তিনি ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেন।
আইসিসি’র ইমেইল বার্তায় জানানো হয়েছে, সংস্থাটির দুর্নীতি বিরোধী পাঁচটি নীতি লঙ্ঘন করেছেন বাংলাদেশের সোহেলী আক্তার এবং তিনি দোষ স্বীকার করে আইসিসি’র শাস্তি মেনে নিয়েছেন। চলতি মাসের ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে তার শাস্তি শুরু হয়েছে।
২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় লতা মন্ডলকে স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেন শিউলি। লতা বিষয়টি টিম ম্যানেজমেন্টকে জানান। টিম ম্যানেজমেন্ট বিষয়টি বিসিবি কর্তাদের নজরে আনেন। পরে বিসিবি’র পক্ষ থেকেই আইসিসি’র দুর্নীতি দমন ইউনিট, আকসুর সাথে যোগাযোগ করা হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে সোহেলী জানান তিনি মজা করে লতাকে স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। যদিও আইসিসি’র কাছে পরবর্তীতে নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন।